আমি নিন্দিত নই, নন্দিত : এরশাদ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভক্তি নেই। পার্টির জন্য আমার মতো কষ্ট আর কেউ করেনি। জেলখানা থেকে সেসময় ৩৫টি আসনে নির্বাচিত হয়েছিলাম। আমি একা পাঁচটিতে জয়ী হয়েছি। এতে প্রমাণিত হয় আমি নিন্দিত ছিলাম না, নন্দিত ছিলাম।
শনিবার বিকেলে গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এইচ এম এরশাদ বলেন, যে দলটি আমাকে জেলে পাঠিয়েছিল তাদের অস্তিত্ব আজ টালমাটাল। তাদের অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয় না। অস্তিত্ব কেবল টিভিতে একটি বয়ান দেয়া। এর বাইরে কিছু নেই।
এইচ এম এরশাদ আরো বলেন, আমাকে স্বৈরাচার বলা হয়। এখন কোন স্বৈরাচার দেশ পরিচালনা করছে। কিভাবে দেশ পরিচালনা করছে সবাই জানেন। আমি কোনো মানুষের ক্ষতি করিনি, হত্যা করিনি, আমার সময় কোনো মানুষ গুম হয়নি, সংবাদপত্র আমার বিরুদ্ধে মুক্তভাবে লিখেছে। কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এখন কেউ কিছু লিখতে পারে না, বলতে পারে না। সব কিছু এখন বন্ধ। আমরা বন্ধ কারাগারে বাস করছি। নির্বাচনের মাধ্যমে একদিন মুক্ত হতে হবে। আমরা সেজন্য প্রস্তুত আছি।
এরশাদ বলেন, বিএনপি আমাকে জেলে দিয়েছিল। তারা ১৪ বছর ৯ মাস পর আমার বিরুদ্ধে মঞ্জু হত্যার মামলা দিয়েছে। আর ২৫ বছর ধরে এ মামলা চলছে। ২৫ বছর একটি মামলা চলতে পারে না। আমি মুক্ত মানুষ নই, মুক্ত রাজনীতিবিদ নই। আমার মনে যে জোর আছে তাতে আমাকে কেউ বন্দি করে রাখতে পারবেনা।
বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা আমাকে সরিয়ে দিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান হয়েছিল তাদের সঙ্গে হাত মিলানো উচিত না।
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পার্টির প্রেডিসিয়াম সদস্য এস এম ফয়সাল চিশ্তী প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়াকে সভাপতি ও জয়নাল আবেদীনকে সাধারণ সম্পাদক করে গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আমিনুল ইসলাম/এআরএ/আরআইপি