ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় বলেই ন্যায়বিচারের সুযোগ নেই: গয়েশ্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৩৯ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২৩

বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় বলেই ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এই ঘোষণা দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফখরুল কারাগারে যাওয়ার ২৩ দিন পর মুক্তির দাবিতে ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও জাতীয়তাবাদী ফোরাম এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে অমানবিকভাবে আটকে রাখা হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই বলেই খালেদা জিয়াসহ নেতারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নেতাদের মুক্তি কার কাছে চাইবো? তিনি আমাদের দলের শীর্ষ নেতাদের ধরেছেন, তিনি তো ছাড়বেন না। তাই এই সরকারের কাছে মুক্তি চেয়ে লাভ নেই।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার সমাবেশ নিয়ে সরকার অমানবিক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমাদের নেতা ডা. জাহিদের কাছে সমাবেশ করার অনুমতিপত্র দিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে রাতের অন্ধকারে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। নানা নাটকীয়তার পরে জেলখানায় পাঠায়। তাদের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সংর্ঘষের ঘটনায় উসকানিদাতা হিসেবে জেলে পাঠানো হয়েছে। অথচ মামলার এজাহারে তাদের নাম নেই। তারপরও নিম্ন আদালতে তাদের জামিন মেলেনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, আমরা আদালতকে একটি কথাই বলতে চাই, আমরা ন্যায়বিচার চাই। যাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতা করা হয়েছে, অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে, তাদের নিয়ে আমরা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই। আমরা করুণা চাই না। এতদিন আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।

খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাননি উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, আমাদের নেত্রী ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন। তার ওপর ন্যায়বিচার করা হয়নি। অবিচারের সম্মুখীন হয়েছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে খালেদা জিয়া ব্যতীত এমন কোনো নজির নেই যে, এ সংক্রান্ত মামলায় কেউ জামিন পায়নি।

তিনি বলেন, আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। বিচার বিভাগ যদি আলাদা হতো, বিচারপতিরা যদি বলতে পারতেন যে তারা স্বাধীন। তাহলে আমরা ন্যায়বিচার পেতাম। কিন্তু এখন আমাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা আর আমাদের নেতাদের মুক্তি চাইবো না, এখন তাদের মুক্ত করবো। আমরা গণতন্ত্র, গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ সব নেতাকর্মীকে আমরা মুক্ত করবো।

এই বিএনপি নেতা বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নেতাকর্মীদের মুক্ত করা হবে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ গণতন্ত্র চায়। জনগণ নিরাপদে তাদের ভোট দিতে চায়। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে পারলে বাংলাদেশ মুক্ত হবে। মানুষ ভোট দিতে পারবে। ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদরা টেলিভিশনে যা বলেন আদালতে সেই মোতাবেকই রায় হয়। এসব দেখেই বোঝা যায় আদালত স্বাধীন নয়। স্বাধীনভাবে কাজ করতে চায়ও না। সেই কারণে আমাদের আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। ফ্যাসিবাদী সরকার কখনো নিরস্ত্র জনগণের সঙ্গে সংগ্রাম করে টিকতে পারবে না। আগেও পারেনি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সোহেল রানার সভাপতিত্বে এবং যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল আনোয়ার আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সহ-প্রচার সম্পাদক আমীরুল ইসলাম আলীম, সহ-তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খাল শিমুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন, ওমর ফারুক শাফিন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. ইউনুস আলী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

কেএইচ/ইএ/জিকেএস