ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

বছরজুড়ে ফখরুলের ‘দৌড়াদৌড়ি’, শেষে মোশাররফের ‘বিজয় মিছিল’

খালিদ হোসেন | প্রকাশিত: ০৯:২৪ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। ২০০৬ সালের অক্টোবরে জোট সরকারের মেয়াদকাল শেষ হয়। এরপর দেশের রাজনীতিতে শুরু হয় অস্থিরতা। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ক্ষমতা হারানো বিএনপির আন্দোলন-কর্মসূচিতে মূলত এরপর থেকে ‘কর্মী খরা’ দেখা যায়। নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ২০০৮ সালে দেশে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফেরে। ওই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ক্ষমতায় বসে আওয়ামী লীগ। এরপর টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আসীন দলটি। আর এসময়ে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি।

দীর্ঘ ১৪ বছরে সরকার পতনে বিএনপি বিভিন্ন আন্দোলন-কর্মসূচি দিলেও সুবিধা করতে পারেনি। তবে ২০২২ সালে দলটির কর্মসূচিতে সেই খরা কাটে। বিভাগীয় গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতেও ঐক্য বজায় রেখে কর্মসূচি সফল করেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। সবমিলিয়ে ক্ষমতার বলয়ের বাইরে থেকে রীতিমতো ‘ধুঁকতে’ থাকা বিএনপির জন্য বিদায়ী ২০২২ সাল ছিল টার্নিং পয়েন্ট।

তবে সিনিয়র নেতাদের ‘দায়িত্বহীনতায়’ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দুর্ভোগ, নির্বাচন এড়িয়ে সিলেকশনের মাধ্যমে অঙ্গসংগঠনের কমিটি করা, কমিটিতে স্বজনপ্রীতি, ‘হাওয়া ভবন’ কর্মচারীদের প্রভাব, কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘অবহেলা’সহ নানান অভিযোগ রয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের।

গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ১০ দফা ঘোষণা

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বছরের শেষদিকে দলীয় কার্যালয় ও কর্মসূচিতে জ্যেষ্ঠ নেতাদের একসঙ্গে অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো ছিল। তবে দলের টার্নিং পয়েন্ট ২০২২ সালের অধিকাংশ সময়েও জ্যেষ্ঠ নেতাদের একসঙ্গে উপস্থিতি দেখা যায়নি। সমাবেশের মঞ্চে ও কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ নেতাদের একসঙ্গে দাঁড় করাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘অবহেলা’ স্পষ্ট দেখা গেছে বলেও অভিযোগ নেতাকর্মীদের।

তাদের দাবি, বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মির্জা ফখরুল। ওই মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে ২৫-৩০ জন এখনো রাজনীতি করছেন, যারা সবাই ফখরুলের সিনিয়র। ইগোর কারণে এসব নেতা ফখরুলের পাশে দাঁড়াতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।

তবে মির্জা ফখরুলের গ্রেফতারের পর সভা-সমাবেশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তার নেতৃত্বে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা একসঙ্গে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ও দলীয় কার্যালয়ে বসছেন। এজন্য নেতাকর্মীরা মুখে মুখে এখন, ‘বছরজুড়ে ফখরুলের দৌড়াদৌড়ি, আর শেষে মোশাররফের বিজয় মিছিল’।

jagonews24

১০ সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ৯ দফা দাবিতে দেশের ১০ সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের গণসমাবেশ দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। এরপর ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহীতে গণসমাবেশ করে দলটি। বিএনপির এসব গণসমাবেশ ঘিরে পরিবহন ধর্মঘট ডাকে শ্রমিক সংগঠনগুলো। অভিযোগ ওঠে, সরকারের চাপে শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট ডেকেছেন। তবে পরিবহন ধর্মঘট ও নানা বাধা-বিপত্তি উৎরে সমাবেশ সফল করেন দলের নেতাকর্মীরা।

আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে ফখরুলকে রেখে সবাইকে নিয়ে গেলো পুলিশ

সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ করে বিএনপি। এ গণসমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে একজন নিহত হন। দলের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রুহুল কবির রিজভীসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়।

গ্রেফতারদের মধ্যে আমানউল্লাহ আমানসহ কয়েকজন জামিন পেয়েছেন। বাকিরা এখনো কারাগারে। এছাড়া ঢাকায় গণসমাবেশের একদিন আগে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরও গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়ে। সরকারের দমন-পীড়নের পরও সমাবেশ সফল হয়েছে বলে দাবি করে বিএনপি।

রিজভী-আমানসহ বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মী আটক

১৫ নেতাকর্মী নিহত, গ্রেফতার শীর্ষ নেতারাও
২০২২ সালে বিএনপির আন্দোলনের পালে কিছুটা হাওয়া লাগে। ফলে পুলিশের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষেও জড়ান দলের নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতা নিহত হন। এরপর নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, খুলনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতারা নিহত নেতাকর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ উৎসাহ দেখা গেছে। এদিকে সারাদেশে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিএনপির ‘ডেডলাইন ১০ ডিসেম্বর’ ঘিরে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

সর্বশেষ ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা এখনো কারাগারে। 

সংসদ থেকে ৭ এমপির পদত্যাগ 
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের মঞ্চ থেকে সাতজন সংসদ সদস্যের পদত্যাগের ঘোষণা আসে। এর পরদিন জাতীয় সংসদে গিয়ে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা। তাদের মধ্যে রুমিন ফারহানা সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ছিলেন। বাকিরা ছয়টি সংসদীয় আসন থেকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে বসেছিলেন। বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ নিয়েও বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এসব আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড, যান চলাচল বন্ধ

গণসমাবেশ থেকে ১০ দফা ঘোষণা
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা ঘোষণা করা হয়। এ দাবি তুলে ধরেন দলের স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ঘোষিত ১০ দফা সামনে রেখে আগামী দিনে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর সারাদেশে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল কর্মসূচি করে বিএনপি।

আরও পড়ুন: গোলাপবাগ মাঠ পেরিয়ে সড়কেও বিএনপি নেতাকর্মীরা

যুগপৎ কর্মসূচিতেও উপচেপড়া ভিড়
২৪ ডিসেম্বর সারাদেশে গণমিছিল করে বিএনপি। এটি ছিল সরকার পতনে এবারের ঘোষিত প্রথম যুগপৎ কর্মসূচি। বিএনপির সঙ্গে কয়েকটি জোট এই কর্মসূচি পালন করে। একই দিনে বিএনপির দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীও দেশজুড়ে গণমিছিল কর্মসূচি করে। তবে ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কারণে ঢাকায় ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল করে বিএনপি। ১২ দল ও জামায়াতে ইসলামীও এদিন ঢাকায় গণমিছিল করে। বিএনপি ও ১২ দল নির্বিঘ্নে কর্মসূচি করলেও এদিন পুলিশের সঙ্গে জামায়াত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। আর জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

রাষ্ট্র মেরামতে ২৭ দফা ‘রূপরেখা’
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণাও বেশ আলোচনায় রয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে এ রূপরেখা ঘোষণা করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। রূপরেখায় বিএনপি উল্লেখ করেছে, তারা ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংশোধন করবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এছাড়া আরও কিছু সংস্কারমূলক ধারা এ রূপরেখায় উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিভিন্ন সময়ে ‘ঠাট্টা-উপহাস’ করে বক্তব্যও দিয়েছেন। তবে অনেকেই বিএনপির এ রূপরেখাকে ইতিবাচক বলেও উল্লেখ করেছেন।

দেশব্যাপী বিএনপির গণমিছিল-বিক্ষোভ ১৩ ডিসেম্বর

দীর্ঘদিনের জোট ভাঙার ‘আনুষ্ঠানিক’ ঘোষণা
বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট হয়। এরপর তা পর্যায়ক্রমে বেড়ে দাঁড়ায় ২০ দলীয় জোটে। দীর্ঘদিন এ জোটের ভূমিকা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়। এরমধ্যে দলের অভ্যন্তরীণ এক সভায় জোটে না থাকার কথা জানান জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তবে এ নিয়ে তখন বিএনপির কোনো নেতা মুখ খোলেননি। তবে গত ৮ ডিসেম্বর এ নিয়ে মুখ খোলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন কোনো জোটে নেই। সব জোট ভেঙে গেছে। এখন আন্দোলন হবে যুগপৎভাবে।’

আরও পড়ুন: গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ১০ দফা ঘোষণা

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টিও বছরজুড়ে বেশ আলোচনায় ছিল। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে গুলশানে নিজ বাড়ি ‘ফিরোজায়’ থাকার সুযোগ পেয়েছেন। শর্তসাপেক্ষে তিনি কারাগারের বাইরে থাকছেন। রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছেন না। তবে দলের নেতারা বিভিন্ন সময়ে তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ খালেদা জিয়া। তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবেদনও করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনাও হয়। তবে শেষপর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি মেলেনি। ফলে দেশেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

১১ জানুয়ারি সারাদেশে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন, তা জানতে সবসময় উদগ্রীব দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বরাবরই বলে আসছেন, তাকে দেশের বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো জরুরি।

চিকিৎসকরা জানান, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৮১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১ ফেব্রুয়ারি গুলশানে নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। এরমধ্যে গত ১১ জুন জরুরিভিত্তিতে তার এনজিওগ্রাম করানো হয়। এতে খালেদা জিয়ার হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্যে একটি ব্লক ছিল ৯৫ শতাংশ। সেটিতে রিং পরানো হয়েছে।

বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের চোখে ‘বিদায়ী ২০২২’
জানতে চাইলে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘শত নির্যাতন ও নিপীড়ন সত্ত্বেও ২০২২ সাল বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে ইনশাল্লাহ আগামীতে বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’

jagonews24

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ২০২২ সালে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। ভোলার ছাত্রদল নেতা নূর আলম থেকে শুরু করে সর্বশেষ পঞ্চগড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত আব্দুর রশীদ আরেফিন পর্যন্ত ১৫ নেতাকর্মীকে হারিয়েছি আমরা। কিন্তু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মনোবল আরও দৃঢ় হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংকল্প রাজপথে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত এক, আহত ২০

ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘কঠিন সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা চাঙা হয়ে উঠেছেন। নেতাকর্মীরা এখন রাজপথে নেমেছেন। কেন্দ্র থেকে যেকোনো সিদ্ধান্ত আসলে বাস্তবায়নে সবাই প্রস্তুত। সেই শক্তিও অর্জন করেছেন। নতুন বছরে (২০২৩ সাল) বিএনপি গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে রাজপথে থাকবে। গণতন্ত্র ফিরে আসবে আন্দোলনের মাধ্যমেই। খালেদা জিয়া আবারও দেশের নেতৃত্ব দেবেন। তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।’

ঢাকায় বিএনপির গণমিছিল শুরু

দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘এ বছর অত্যাচারের মাত্রা যেমন বেড়েছে, নেতাকর্মীরাও তেমন শক্ত হয়েছেন। তারা প্রতিজ্ঞা করেছেন, দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবেন। আগের মতো লুকোচুরির ব্যাপারটা অনেক কমে গেছে। আমাদের কর্মসূচিতে সরকার এতটাই ভীত যে, সব রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নিয়ে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে নামতে হয়েছে। এটা হলো আমাদের বড় প্রাপ্তি।’

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এ বছর বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতনের বছর হিসেবে চিহ্নিত হবে। চার বছর ধরে চেয়ারপারসন কারাগারে। তবে নেতাকর্মীরা স্বপ্ন দেখছেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।’

কেএইচ/এএএইচ/এএসএম