১২ ও ৭ দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
চলমান আন্দোলনের পরবর্তী করণীয় বিষয়ে ১২ দলীয় ও ৭ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বিএনপি। ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও মো. আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ও সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যথাক্রমে ১২ ও ৭ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি।
১২ দলীয় জোটের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ এলডিপির (বিএলডিপি) শাহাদাত হোসেন সেলিম, মুসলিম লীগের (বিএমএল) শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় দলের রফিকুল ইসলাম, জাগপার ইকবাল হোসেন, এনডিপির আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম প্রমুখ।
তবে বৈঠকের পর বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদিও ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, বিএনপি তাদের কাছে চলমান আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে মতামত নিয়েছেন। বিএনপি নেতারা বলেছেন যে, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারকে আর সময় দেওয়া যায় না। এ অবস্থায় অতিদ্রুত সরকার পতনের লক্ষ্যে এক দফার আন্দোলনে যেতে হবে। সেই আন্দোলন আসন্ন রমজানের আগেই কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জোটের শীর্ষ দুজন নেতা জানান।
জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আমাদের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কথা বলেছেন। তারা বিভিন্ন বিষয়ে মতামত নিয়েছেন। বিশেষত শুক্রবার ঢাকার গণমিছিল ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১২ দলীয় জোটের সব দল আলাদা আলাদা ব্যানারে নিজস্ব নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল করবে। তারা বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করে কাকরাইল মোড় হয়ে আবারও পানির ট্যাংকির সামনে শেষ করবেন।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান জানান, তিনি বৈঠকে না গেলেও তার দলের মহাসচিব ছিলেন। বৈঠকে মূলত গণমিছিল সফল করা এবং পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে তার দলের পক্ষ থেকে মতামত দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সন্ধ্যায় সমমনা আরও সাত দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছে বিএনপি। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, সাম্যবাদী দল, ন্যাপ ভাসানি, পিপলস লীগের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অবিলম্বে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত, সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছে বিএনপি। এসব দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে ১০ দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত শনিবার ঢাকা ও রংপুর মহানগর বাদে সারা দেশে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে গণমিছিল করেছে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।
কেএইচ/কেএসআর/এমএস