ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

১০ ডিসেম্বর পুলিশকে মারধর-গাড়ি ভাঙচুর: ইশরাকের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে প্রধান আসামি করে যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিস্ফোরক আইনে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেছে।

গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান, বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে বিএনপি নেতা ইশরাকের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জাগো নিউজকে এ নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

তিনি বলেন, এ মামলায় বিএনপি আরও নেতাকর্মীকে আসামি দেখানো হয়েছে। তারা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নবীউল্লাহ নবী, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পাভেল শিকদার, বিএনপি নেতা মো. জামসেদুল আলম শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন জিকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাইসুল হাসান হবি, বিএনপি নেতা শুভ হাসান বাবু ও মো. কাউসার খানসহ আরও কয়েকজন।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরি সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

jagonews24

ওই মামলায় গত ৬ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা থেকে ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শ্রমিকদলের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।

আরও পড়ুন: কারামুক্ত ইশরাক

গ্রেফতারের পরই তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ইশরাকের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাকে ওইদিনই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) তামান্না ফারহার আদালত। ১২ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে আসামিরা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীত পাশে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

টিটি/ইএ/এমএস