‘যেই দেশ চালাক যেন ভালোভাবে চলে, আমরা শান্তি চাই’
‘শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া- যেই দেশ চালাক, দেশ যেন ভালোভাবে চলে। আমরা জনগণ চাই শান্তি। পৃথিবীর প্রতিটা রাষ্ট্রই ভালো চলছে, বাংলাদেশে সমস্যা কেন? আমার দেশে এত দুর্ভোগ কেন? আমরা গ্যাস পাই না কেন, তেল পাই না কেন, বিদ্যুৎ পাই না কেন? আমরা চাল, পেঁয়াজ অল্প দামে কিনতে পারি না কেন? পেঁয়াজ, হলুদ, মরিচ- সব হয় দেশে, তারপরও সবকিছুর দামে এত আগুন কেন?’
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ডাকা গণসমাবেশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভোলা থেকে আসা মো. তৈয়জ উদ্দিন এ কথা বলেন। তবে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন বলে দাবি করেন।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় তার সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। তৈয়জ উদ্দিন বলেন, ‘আমি একজন কৃষক এবং ভোলায় স’মিলের ক্ষুদ্র ব্যবসা আছে। আমার পরিবারে আট সদস্য। আমি ছাড়া আয় করার কেউ নেই। জায়গা জমিও তেমন নেই।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে আমি চায়ের দোকান করতাম। চিনি কিনতাম ৩৩ টাকা কেজি করে, আজ ১২০ টাকা কেজি চিনি। দেশে সবকিছু উৎপাদন হয়, কোনো কিছু লাগাবেন তাই হয় আমার দেশে, তারপরও এত দাম কেন? আমার দেশে ধান আর ধান, এরপরও চালের দাম এত বাড়বে কেন?’
আরও পড়ুন: গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ১০ দফা ঘোষণা
তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি খারাপ, সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। সংসার চালাইতে হিমশিম খাচ্ছি। সরকার দায়িত্ব নিয়ে মানুষের ভালোর জন্য সুন্দরভাবে দেশ চালাবে, এটাই আমাদের দাবি। ১৭ কোটি মানুষের একটাই দাবি, আমরা একটু ভালো খাইতে চাই, ভালো চলতে চাই। দেশ যেই চালাক না কেন, আমরা বাজার শান্ত চাই।’
এদিকে ভোট না দিতে পেরে অনেকটা ক্ষোভ থেকেই সমাবেশে যোগ দেন কামরাঙ্গীরচরের জুতার ব্যবসায়ী মো. আফসার উদ্দিন (৫০)। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘নোয়াখালীর কবিরহাটে আমার এলাকায় উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। আমি কোনো দল করি না, উপজেলা নির্বাচনে আমি ভোট দিতে গিয়েছি, বলে আমার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। গত জাতীয় নির্বাচনেও ভোট দিতে পারিনি। একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে কেন আমার ভোটটা দিতে পারবো না?’
আরও পড়ুন: সমাবেশ ঘিরে যে আতঙ্ক ছিল, আজ নেই: ডিবিপ্রধান
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করি না। দ্রব্যমূল্য ও খালেদার মুক্তি এসব আমি বুঝি না। আমি শুধু এসেছি বিএনপি ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ডাক দিয়েছে, সেই কারণে।’
আরএসএম/ইএ/জিকেএস