রোদের উত্তাপে সমাবেশস্থলের আশপাশে ঘুরছেন নেতাকর্মীরা
রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পাশে গোলাপবাগ মাঠে চলছে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ। দুপুর ১২টার দিকে সমাবেশমঞ্চে উপস্থিত হন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অন্য নেতারা। তবে রোদের উত্তাপে অনেককেই সমাবেশস্থল ত্যাগ করে আশেপাশে অবস্থান নিতে দেখা যাচ্ছে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা থেকে অনেকেই সমাবেশ স্থল থেকে বেরিয়ে সায়েদাবাদ জনপথ, যাত্রাবাড়ীসহ আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। অনেকেই দুপুরের খাবার খেতে আবার কেউ কেউ নামাজসহ আনুষাঙ্গিক প্রয়োজনে সমাবেশস্থল থেকে বের হচ্ছেন।
বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেষ সময়ে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ায় অনেক ব্যবস্থাপনাই করা সম্ভব হয়নি। আগে অনুমতি পেলে সমাবেশ স্থলে অন্তত প্যান্ডেল করা যেতো। অল্প সময়ে সেটা সম্ভব না হওয়ায় এখন রোদে নেতাকর্মীদের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিকেলে কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের সময় সব নেতাকর্মী আবারও সমাবেশস্থলে জড়ো হবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
যশোরের কেশবপুর থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কৃষ্ণ চ্যাটার্জি জাগো নিউজকে বলেন, আমরা গতকাল থেকে সমাবেশস্থলে অবস্থান করছি, তবে রোদের উত্তাপ বেশি থাকায় অনেকে সমাবেশস্থলের আশেপাশে অবস্থান নিচ্ছেন। দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা আবার সমাবেশস্থলে আসবো। নেতাদের দিকনির্দেশনা শুনেই আমরা ফিরবো। আমাদের সব লোকজন আশেপাশেই আছেন।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা থেকে আসা মো. আমানুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের লোকজন বের হয়ে যাচ্ছে ব্যাপারটা এমন নয়। অনেকেই আশেপাশে খাবার খেতে বা নামাজ পড়তে যাচ্ছেন। আমি নিজেও সামনে আমার আত্মীয়ের বাসায় দুপুরের খাবার খেতে যাচ্ছি। আর মাঠে রোদ অনেক বেশি, শেষ সময়ে অনুমতি পাওয়ায় অনেক প্রস্তুতিই নেওয়া যায়নি। তবে আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে আবার সমাবেশস্থলে ফিরবো। আমরা রাত থেকে অবস্থান করছি শুধুমাত্র সমাবেশ সফল করার জন্য। সেটি না করে আমরা ঘরে ফিরবো না।
এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের অনেকেই দুপুরের খাবার-পানির ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। তারা জানিয়েছেন, অন্যান্য সময় গুচ্ছ গুচ্ছভাবে আসা নেতাকর্মীদের জন্য একসঙ্গে খাবার আনা হতো, এবার অল্প সময়ের মধ্যে সবকিছু হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। এমনকি ঠিকভাবে বসার জায়গা না পাওয়ায় অনেকে আশেপাশের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে বিশ্রাম করছেন।
আইএইচআর/এমকেআর/জিকেএস