ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

গোলাপবাগ মাঠ পেরিয়ে সড়কেও বিএনপি নেতাকর্মীরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পাশে গোলাপবাগ মাঠে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে দলে দলে বিএনপি নেতাকর্মীদের গোলাপবাগ মাঠের দিকে আসতে দেখা যায়। দুপুর নাগাদ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে মাঠে জায়গা না হওয়ায় আশপাশের সড়কগুলোতে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর কমলাপুর-মুগদা অঞ্চলের সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। সমাবেশস্থলে জায়গা না হওয়ায় কর্মী-সমর্থকরা মুগদা মানিকনগর কমলাপুরের সড়কেও অবস্থান নিয়েছেন। তবে যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদে তাদের তেমন উপস্থিতি চোখে পড়েনি। ওই দিকে অনেকখানিই ফাঁকা রয়েছে।

বহু নাটকীয়তার পর রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। ২৬ শর্তে এ সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি।

শনিবার বেলা ১১টার আগেই শুরু হয় এ বিভাগীয় গণসমাবেশ। এর আগে গতকাল শুক্রবার গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর পরই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। রাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে যায় মাঠ।

মাঠে জায়গা না হওয়ায় বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা গোলাপবাগ মানিকনগর অঞ্চলের রাস্তায় অবস্থান নেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতি। দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে মানিকনগর কমলাপুর মুগদা অঞ্চলের রাস্তায় নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা যায়।

jagonews24

মুগদা মেডিকেলের সামনে কথা হয় কুষ্টিয়া থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসা মিজানুর রহমান নামে একজনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সমাবেশ যোগ দিতে আমরা ২০ জন কুষ্টিয়া থেকে একসঙ্গে এসেছি। মাঠে ঢুকতে না পারায় রাস্তায় অবস্থান নিয়েছি। আমাদের আরও লোকজন আছে। সমাবেশ শেষে সবাই একসঙ্গে কুষ্টিয়ায় ফিরে যাবো।

মানিকনগর মোড়ে কথা হয় বরিশাল থেকে আসা কাশেম মাতবরের সঙ্গে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের এ সমাবেশ করতে দিতে চাইনি। কিন্তু আমাদের কর্মীরা রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সমাবেশে ছুটে এসেছেন। মাঠে জায়গা না হওয়ায় লাখো মানুষ রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে।

কমলাপুর, মানিকনগরের সড়কের পাশাপাশি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কেও অবস্থান নিয়েছে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। সমাবেশস্থল থেকে মাইকে ভেসে আসা নেতাদের বক্তব্য সড়কে বসেই শুনছেন তারা।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নেওয়া রিফাত নামের একজন বলেন, আমি যাত্রাবাড়ী থাকি, পারিবারিকভাবে বিএনপির সমর্থন করি। অনেকদিন পর বিএনপির এতো বড় সমাবেশ দেখছি। ঢাকায় বিএনপির এতো বড় সমাবেশ আমি আর দেখিনি।

তিনি বলেন, সরকার এ সমাবেশ বানচালের অনেক চেষ্টা করেছে। নয়াপল্টনে সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা পল্টনে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার অনুমতি দেয়নি। এখন গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ হচ্ছে। স্থান পরিবর্তন করেও লোকসমাগম ঠেকানো যায়নি। আমি মনে করি এ সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

jagonews24

মুগদা, কমলাপুর, মানিকনগর অঞ্চলের রাস্তায় বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের অবস্থান নিতে দেখা গেলেও যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ জনপথ অঞ্চলে তাদের আনাগোনা ছিল কম। এ অঞ্চলে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে।

এদিন সকাল থেকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় অবস্থান নিতে দেখা যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের। একই সঙ্গে অঞ্চলটিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগ কর্মী ফয়সাল জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি করে। এ আগুন সন্ত্রাসরা যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। এখানে বিএনপি কর্মীরা কোনো ঝামেলা করতে এলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

এমএএস/এমকেআর/জিকেএস