বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রী
কর্মসূচি করেন আপত্তি নেই, মানুষের ওপর হামলা হলে ছাড়বো না
বিএনপির কর্মসূচিতে সরকারের আপত্তি নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আন্দোলন করেন, মিছিল করেন, মিটিং করেন, কোনো আপত্তি নেই। তবে, একজন মানুষের ওপরও আক্রমণ হলে একটাকেও ছাড়বো না। আমাদের ওপর হামলা হয়েছে সহ্য করেছি। মানুষের ওপর হামলা হলে সহ্য করবো না।’
শনিবার (২৬ নভেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্মেলনে মায়েদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ছেলে-মেয়ে যাতে নিজের মনের কথা মায়ের কাছে বলতে পারে, সে পরিবেশ করতে হবে। তাহলে তারা বিপথগামী হবে না। এ ক্ষেত্রে মায়ের বিরাট ভূমিকা আছে, সেটা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন>> নারীদের বিচারপতি-সচিব-ডিসি-এসপি করার পথ সুগম করেছি: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি। এতে মেয়েরা চিকিৎসা পায়। মেয়েরাই চাকরি করে। সারাদেশে ৩০ হাজার নার্স ও ৪৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছি। দুগ্ধপানকারী মায়ের বিনাপয়সায় চিকিৎসা করে দিয়েছি। নারীদের সবধরনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। প্রাথমিক শিক্ষায় ৬০ শতাংশ মেয়ের চাকরির ব্যবস্থা করেছি।
নারীদের ওপর বিএনপির অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে ৬ বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধাও রেহাই পায়নি। ঠিক একইভাবে ৭১ এ নারীদের ওপর পাশবিক অত্যাচার হয়েছিল।
ইসলাম ধর্মই একমাত্র নারীদের সমান অধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম ধর্মই একমাত্র ধর্ম, যেখানে নারীদের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। সম্পদে স্বামী ও বাবার সম্পদে নারীর অধিকার দিয়েছে ইসলাম। অথচ ধর্মের নামে নারীদের ঘরে রেখে দিতে চায়, তারা জানে না।
তিনি বলেন, যেকোনো অর্জনে নারীদের অবদান থাকতে হবে। সমাজের অর্ধেক নারী। তারা অচল থাকলে সমাজ এগোবে না। নারী-পুরুষকে সমান তালে এগিয়ে যেতে হবে। আমি নারীদের বিচারপতি, সচিব, ডিসি, এসপি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পথ সুগম করেছি। আজকে আমাদের মেয়েরা প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মেয়েরা ভালো করে বিশ্বের প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর করে দিচ্ছি। সেখানে নারী ও পুরুষকে সমান ভাগ দিচ্ছি। কেউ স্ত্রীকে ছেড়ে দিলে ওই বাড়ি হবে নারীর, পুরুষের নয়। যাতে নতুন ঘর পেয়ে কেউ নতুন বউ না নিয়ে আসে।
মেয়েদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মেয়েরা স্বামীদের কাছে কত কিছু দাবি করে। আমার মাকে দেখিনি কোনো কিছু দাবি করতে। বরং তিনি বলতেন, তুমি তোমার কাজ করে যাও। সংসারসহ সব কিছু আমি দেখবো। বাবাকে যখন হত্যা করে, তখনও বলেছিলেন তাকে যেহেতু হত্যা করেছো, আমাকেও হত্যা করো।
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এসইউজে/এমএএইচ/জেআইএম