ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

‘যুবলীগের সমাবেশের দিন ধর্মঘট নেই, বিএনপির হলেই ধর্মঘট’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৩৯ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২২

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে মানুষের ঢল দেখে সরকার ভয় পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, সমাবেশগুলোতে এত বাধা দিয়েছেন। সমাবেশে যাওয়ার পথে যুবলীগ-ছাত্রলীগ দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। আহতদের অনেকেই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, এর কী জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী?

রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের যুব মহাসমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বাস-মিনিবাস ধর্মঘট ডাকে না, কিন্তু বিএনপির গণসমাবেশের ৩০-৩২ ঘণ্টা আগেই ডাকা হয় ধর্মঘট। এটা কার নির্দেশে ডাকা হয়-সেটাও জানে দেশবাসী।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন বিভাগে বিএনপির গণসমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়। বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতে এই ধর্মঘট সরকার নিজেদের লোক দিয়ে ডাকছে বলে জানান রুহুল কবির রিজভী।তবে বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা দাবি করছেন, মহাসড়কে তিন চাকার যান ‘বন্ধের দাবিতে’ এই ধর্মঘট।

এ বিষয়ে রিজভী বলেন, আসলে ধর্মঘট যারা ডেকেছেন পরিবহন মালিক সমিতির লোকজন নয়, ওরা ‘আওয়ামী সমিতি’র লোক।

সরকার ভয় পেয়ে দেশজুড়ে আবারও গ্রেফতার শুরু করেছে বলে জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, কোনো কিছুই আমাদের ঠেকাতে পারবে না। আমাদের সব অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন তাদের অধিকার আদায়ের জন্য। এরইমধ্যে বিভাগীয় গণসমাবেশে তার প্রমাণ দেখেছে দেশবাসী।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, গুম আর ক্রসফায়ার শব্দ দুটি জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার আমলে কেউ শুনেছে বলে আমার জানা নেই। আসলে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে বোকা মনে করছেন। তিনি জনগণের প্রধানমন্ত্রী নন।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বেকার বলে জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বেকারের কারখানা। শিক্ষিত বেকাররা চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করছেন।

এসময় রিজভী অভিযোগ করেন, বরিশালে গণসমাবেশ শেষ হওয়ার পর গৌরনদী আগৈলঝরায় বিএনপির মালিকানাধীন ২৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতারা। এতে প্রশাসন সহায়তা করেছে।

রিজভী বলেন, দুটি এনজিও বন্ধ রাখা হয়েছে, কারণ এই এনজিওগুলো যারা পরিচালনা করেন তারা বিএনপির সমর্থক।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণের অনেক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসময় রিজভী গ্রেফতার কয়েকজনের নাম জানান। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান বাচ্চু, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, মো. শাহাদাত হোসেন, হাবিবুর রহমান শেখ ওরফে বাবুল, মো. চাঁন মিয়া সরদার, মিজানুর রহমান আকতার, মো. সবুজ, মণ্ডল হোসেন, সৈয়দ হেমায়েত উদ্দিন, শেখ শরিফ উদ্দিন আহমেদ মামুন, মো. রিমন মিয়া, মো. ফারুক, নুর মোহাম্মদ, রায়হান কবির, মো. আক্কাস আলী, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মো. ফোরকান সরকার, বশির আহম্মেদ, মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মো. রুহুল আমিন, মো. সজীব, মো. আলমগীর হোসেন, মো. নোমান, মো. ফরহাদ আহম্মেদ, মো. মোশারফ, মো. ফারুক, মো. মিজানুর রহমান, মো. শরিফুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, মো. বিপ্লব এবং মো. ইসরাফিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদল সভাপতি রুবেল মিয়াকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাই।

কেএইচ/জেডএইচ/জেআইএম