খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না: ফখরুল
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো সংলাপ হতে পারে না। এ সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমতা হস্তান্তর না করবে, সংসদ বিলুপ্ত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।’
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, খালেদা জিয়া সেই বুলেট আপনাকেও ছাড়েনি ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা তো ভয়ঙ্কর কথা। এ বুলেটের কথা যদি তিনি বলে থাকেন, তাহলে আমর সন্দেহ হয়। যদিও আমি শুনিনি তিনি ঠিক কী বলেছেন। যদি তিনি এটা বলে থাকেন, তাহলে বোঝা যাবে, তিনি পুরোপুরিভাবে এই ধরনের একটি চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত।’
ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে তারা রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চান। জীবন থেকেও সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন নিশ্চয় আসে। এটা তাকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে। কারণ তিনি দায়িত্বশীল সরকারের মন্ত্রী। এটা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ নেই। তিনি যদি বলে থাকেন যে, আমি এটা বলিনি তাহলে তাকে এটা বলতে হবে। তিনি যদি বলে থাকেন, তাহলে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।’
মানবাধিকার ইস্যুতে বিএনপি যতগুলো অভিযোগ করেছে, সবকিছু রাজনৈতিক বলে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি (ওবায়দুল কাদের) তো গুম-অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। আমি তো টেলিভিশনে দেখলাম, তিনি বক্তব্যে বলেছেন, গুম বা অপহরণ হয়ে যাওয়া বিষয়গুলোর বিচার করার জাতিসংঘের কোনো ক্ষমতা নেই। তার মানে এগুলো সংঘটিত হয়েছে, এটা স্বীকার করছেন। নেত্রনিউজের প্রতিবেদনে আরও বেশি প্রমাণিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারকে একটি আলাদা কমিশন গঠন করে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা তদন্ত করার সুপারিশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। তাদের দেওয়া বিবৃতিতে যা উঠে এসেছে, সেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি। তার সত্যতা প্রমাণ হয়েছে। আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীন তদন্ত চাই, জড়িতদের বিচার চাই।’
কেএইচ/এএএইচ/জেআইএম