কাউন্সিল বানচাল করতে খালেদার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
বিএনপি যাতে সংগঠিত হয়ে শক্তিশালী হতে না পারে এজন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ব্যস্ত রাখতেই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
তিনি বলেন, বিএনপি যখন কাউন্সিল করার চিন্তা ভাবনা করছে তখন নতুন করে আরেকটি চক্রান্ত শুরু করেছে সরকার।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ঢাকা মহানগরী প্রতিবাদ সভাটির আয়োজন করে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, কাউন্সিলকে সামনে রেখে বিএনপি সংগঠিত হচ্ছে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য কার্যক্রম চলছে। তবে সরকার চায়, বিএনপি যাতে সংগঠিত হতে না পারে এবং কাউন্সিল যাতে সফল না হয়। সেজন্য সরকার আমাদের নেত্রীকে (খালেদা জিয়া) মানসিকভাবে হয়রানির মাধ্যমে ব্যস্ত রাখতে চায়।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এ কথা বলতে চাই, যথাসময়ে বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে এবং এই কাউন্সিলের মাধ্যমে আমাদের নতুন নেতৃত্ব আসবে, যারা অগ্রগামী হিসেবে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে পারবে। এজন্য প্রয়োজনে গঠনতন্ত্র সংশোধন হবে।
খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রসঙ্গে নোমান বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা। এ মামলা টিকবে না, টিকতে পারে না। মিথ্যা প্রমাণিত হবে, জনগণ জয়যুক্ত হবে। কারণ, মিথ্যাচার সত্যের কাছে জয়ী হতে পারে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আমি এই মামলাকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাই না। নেত্রীর (খালেদা) বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে বলে এটি ‘বড় মামলা’ মনে হচ্ছে। এর বাইরে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও মামলা দেয়া হচ্ছে। এ সরকার যতদিন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে ততদিন পর্যন্ত এ ধরনের মিথ্যা মামলা অব্যাহত থাকবে।
নগর কৃষক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাসির হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-সম্পাদক তকদির হোসেন মো. জসীম, সহ-দফতর সম্পাদক এস কে সাদী প্রমুখ।
এমএম/এআরএস/পিআর