ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

শহীদদের ‘প্রকৃত সংখ্যা’ বের করবে বিএনপি

প্রকাশিত: ০৯:৩৭ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

বিএনপি  ক্ষমতায় গেলে শহীদদের প্রকৃত সংখ্যা বের করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রকৃত শহীদদের সংখ্যা বের করার জন্য তৎকালীন আইজিপি আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ৭৪ সালে সেই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল। শহীদদের সংখ্যা নিয়ে আমরা কেন অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকবো? কেন আমরা নিশ্চিত হতে পারবো না? বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্য সমর্থন করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক ও মতবিরোধ রয়েছে, এটা তো মিথ্যা না। কারণ, দেশ স্বাধীনের কয়েকদিন পরেই মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান নির্দিষ্ট করেই বললেন, ত্রিশ লাখ লোক শহীদ হয়েছেন। স্বাধীনতার কয়েক দিনের মধ্যেই কে কখন হিসাব কিংবা অনুসন্ধান করেছেন যে, ত্রিশ লক্ষ লোক মারা গেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে।’ আমিও বলব- বিতর্ক আছে, একশ বার বিতর্ক আছে। তাই বলে শহীদদের ছোট ও অসম্মান করা করা হচ্ছে, এটা সঠিক নয়। বরং যারা আমাদের মাতৃভূমির জন্য রক্ত দিয়েছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন, জীবন দিয়েছেন; তাদের নাম বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হোক।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধ যারা করেছেন তাদেরকে ভাতা দেয়া হচ্ছে, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, ছেলে-মেয়েদের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এতে আমরা খুশি। কিন্তু যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কোনো প্রাপ্য নাই? এই দেশের জন্য তাদের কোনো অবদান নাই? কেন তাদের পরিবার-পরিজনেরা এই মর্যাদা পাবেন না, কেন তাদের নাম ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হবে না প্রশ্ন রাখেন তিনি।

নজরুল ইসলাম বলেন, শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রের যে দায়িত্ব ছিল এতদিনের সরকারগুলো তা ঠিকভাবে পালন করেনি। এজন্য অভিযোগ তাদের সবার ওপরই পড়তে পারে। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার জন্যই খালেদা জিয়া কথা বলেছেন। কিন্তু সরকার সে দায়িত্ব পালন না করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়েছে। বিএনপি আবার দায়িত্বে এলে নিশ্চয় এ অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবে।
 
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বক্তব্যে সরকারের ভীত কেঁপে গেছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণ যখন কোনো ইস্যুতে আন্দোলন শুরু করে সরকার তখনই অন্য একটি ইস্যু সামনে নিয়ে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার নামে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করা হয়েছে। আমরা এ ইস্যুতে আন্দোলন করব। তবে মূল ইস্যু তথা নির্দলীয় সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের দাবি থেকে আমরা সরে আসবো না।

কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এবং সহ-দফতর সম্পাদক এস কে সাদীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদীর হোসেন মো. জসীম প্রমুখ।

এমএম/এসকেডি/আরআইপি