ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

জনগণ জেগে উঠলে সরকারের পতন অনিবার্য : নজরুল ইসলাম

প্রকাশিত: ১০:০৩ এএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় তার (খালেদা জিয়ার) কোনো সাজা হবে না। তারপরেও সরকার সাজা দিতে অপচেষ্টা করছেন। এ সরকার মামলাবাজ সরকার। যত অত্যাচার করুন না কেন জনগণের বিচারই শেষ বিচার।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা তুলে নেয়ার দাবিতে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর জাগপা।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা এদেশের জনগণ মেনে নিবে না। জনগণ জেগে উঠলে এ সরকারের পতন অনিবার্য।

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা সরকার পতনের কফিনে শেষ পেরেক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা আরো বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। তাই তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের উদ্দেশ্য খালেদা জিয়াকে রাজনীতি করতে দিবে না। কারণ তিনি (খালেদা) গণতন্ত্রের রক্ষাকারী এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা মেনে নেয়া যায় না।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ, এম আর আক্তার মুকুলসহ অনেক বুদ্ধিজীবী অনেক সময়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা একেক রকম উল্লেখ্য করেছেন। খালেদা জিয়া তো কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেন নাই। তাহলে তো খালেদা জিয়ার আগে তাদের নামে মামলা করা উচিৎ। শেখ মুজিব তো যুদ্ধের পরে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করার জন্য কমিটি গঠন করেছিলেন। এমনকি প্রতি পরিবারকে দুই হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা করেছিলেন। তারপরেও ১ লাখ ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নাম পাওয়া গিয়েছিল।’

সরকারের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ সরকার হামলা-মামলাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও গণতন্ত্র হত্যাকারী।  খালেদা জিয়ার বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার লেশ মাত্র নেই। অনেক বড় বড় আইনজীবীরাও বলেছেন খালেদা জিয়ার বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহ হয় নাই। তারপরেও সরকার এ মামলার অনুমোদন দিয়েছে। শুধু মাত্র জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য।’

নগর জাগপার সভাপতি আসাদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।

এমএম/একে/আরআইপি