ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

হাস্যকর মামলা দেয়া হয়েছে খালেদার বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ০৬:৩৫ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যতবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ততবার বিজয়ী হয়েছেন। গৃহবধু থেকে অনেক সংগ্রামের পর তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। অথচ সারাদেশের জনপ্রিয় এ নেত্রীর বিরুদ্ধে হাস্যকর মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। যা শুনলে সারা বিশ্ব চমকে যাবে।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

রায়, সংবিধান, নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র শীর্ষক এ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে অল কমিউনিটি ফোরাম নামে একটি সংগঠন।

মেজর হাফিজ দাবি করেন, বেগম জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে রাষ্ট্রদ্রোহীতার কোন উপাদান ছিল না। ষড়যন্ত্র করে সরকার হটানোর চেষ্টা করলে রাষ্ট্রদোহ মামলা করা যেতো। মিথ্যা বানোয়াট ও হাস্যকর মামলা দিয়ে বিএনপির মতো জনপ্রিয় দলকে হাওয়ায় মিশিয়ে দেয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে জঙ্গিবাদ জেগে উঠবে। নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন দেখতে চাই। আমরা এখন মহাসংকটকালে অবতীর্ণ হয়েছি। অথচ গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করলেও এখন এর লেশ মাত্র নেই। দেশে নব্য স্বৈরতন্ত্র চেপে বসেছে।

দেশবাসী প্রধান বিচারপতির বক্তব্য গ্রহণ করেছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিচারপতি থাকাকালীন রায় দেবেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক ছিল। অথচ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ যন্ত্র থেকে তার সন্মানের খেলাপ করে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। যেটা খুবই দুঃখজনক।

সাধারণ মানু্ষের অধিকার হরণের পর এবার শাসকদল বিচার বিভাগের অধিকার হরণ করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
দিনের বেলায় রায় দেন আর রাতের বেলায় রায় লেখেন এমন বিচারপতি আমরা চাই না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মেজর হাফিজ বলেন, সংসদে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেয়া হয়েছে। সামরিকবাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে প্রধান বিচারপতি এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলেও সংসদে আলোচনা করা হয়েছে। সরকারের মন্ত্রী এমপিদের আক্রমণাত্বক ভাষা রাজনীতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।

শেখ হাসিনার রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংঘাতের মূলে রয়েছে পক্ষপাতমূলক রায়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিজ বাসভূমি থেকে খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। কারাগারে নেয়ার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। কেন বাসার সামনে সমন টাঙ্গাতে হবে। অন্য কোন সন্মানজনক ব্যবস্থা কি ছিলো না?

হাফিজ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে বেগম জিয়া কোন সংখ্যার কথা বলেননি। সন্মানহানি হয় এমন কিছু বলেননি। যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি তাদের হুংকার বেশি শোনা যাচ্ছে। হেয় করার জন্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এটা খারাপ আলামত।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিরোধী দলের উপর সরকার নির্যাতনের খড়ক ছাড়াচ্ছে। ঐকবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার আদায় করতে হবে।

আয়োজক সংগঠনটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফ উদাদিন বকুলের সভাপতিত্বে এতে অল কমিউনিটি ফোরামের নেতারা সভার বক্তব্য রাখেন।

এমএম/জেএইচ/এমএস