ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

কোনো কথা রাখেনি পাকিস্তান : নৌমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৪০ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, ‘১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল স্বাক্ষরিত ত্রি-দেশীয় চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান কথা দিয়েছিল যারা যুদ্ধাপরাধী হিসাবে চিহ্নিত তাদের দেশে ফেরত নেয়ার পর বিচার করা হবে। কিন্তু পাকিস্তান তাদের কোনো কথা রাখেনি।’

রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার স্বাধীনতা হল মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আয়োজনে ‘১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার বিচার চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী (আইসিটি) আইনে ১৯৫ জন চিহ্নিত পাকিস্তানি সৈন্যের বিচার শুরু করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান সংগঠনের আহ্বায়ক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান।

মন্ত্রী বলেন, ‘আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে যাবে বলে চুক্তির ১২ নং অনুচ্ছেদে যে অঙ্গীকার করেছিল সে অঙ্গীকারও পালন করেনি পাকিস্তান। তাই অনতিবিলম্বে ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সৈন্যের বিচার শুরু করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহজাহান খান আরো বলেন, ‘জেনেভা কনভেনশন, ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন, জাতিসংঘের ঘোষণাসহ সকল আন্তর্জাতিক ন্যায়-নীতি ও শিষ্টাচার বিসর্জন দিয়ে বিগত ৪৪ বছরেও তাদের মৌখিক অঙ্গীকার বা লিখিত চুক্তি, কোনোটাই পালন করেনি পাকিস্তান নামক প্রতারক রাষ্ট্রটি।’
 
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ১৯৭১ সালের লজ্জাজনক পরাজয়কে এখনও মেনে নিতে পারেনি। এ কারণেই তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই নানারকম চক্রান্ত করে চলেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং কারা অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়ে তাদের মিত্রদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করাসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা ধ্বংসের প্রতিটি চক্রান্তে তারা ছিল নেপথ্যে সক্রিয়। আজ যখন এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাস্তবায়ন হচ্ছে তখন মুখোশের আড়াল থেকে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসছে পাকিস্তানের নোংরা মুখচ্ছবি।’
 
এ সময় শাহজাহান খান ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের’ ২১ দফা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে  আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, শিরিন আখতার, চিত্রপরিচালক কাজী হায়াৎ, ছাত্রনেতা  ইসমত কাদির গামা প্রমুখ।

এএম/এসকেডি/পিআর