ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

‘পুলিশ দেশের রাজা হলে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত’

প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬

পুলিশ দেশের রাজা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সভায় ঢাকা মহানগীর আহ্বায়ক কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ ও মহানগর সকল থানা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়করা উপস্থিত ছিলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সিটি কর্পোরশনের এক কমকর্তাকে পুলিশ বেধড়ক লাঠি পেটা করে বলেছে, ‘মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ’। এ প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকেই পদত্যাগ করেন। কারণ পুলিশ যখন দেশের রাজা তাহলে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কে? সরকার রাজধানীতেই থাকে। রাজা তার রাজত্বের জন্য রাজধানী রক্ষার চেষ্টা করে । শেখ হাসিনা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ঢাকা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা রাজধানী ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমাদের হারিয়ে যাওয়া অতীত গৌরবকে ফিরে পেতে চাই। যারা রাজধানীতে বসবাস করি তাদেরকে বুঝতে হবে রাজধানীতে থেকেই স্বৈরাচার বিতাড়িত করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি বিরোধী দল নয়, একটি রাজনৈতিক দল। আমরা বিরোধী দল বলব না কারণ এই সরকারের কোনো বৈধতা নেই। নির্বাচিত দলীয় সরকার থাকলে একটি বিরোধী দল থাকতে পারে। বর্তমানে রওশনের নেতৃত্বে যে বিরোধী দল, সেটা বিরোধী দল না, সেটা সরকারেরই অংশ।’

দলের স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য মির্জা আব্বাস প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, তিনি হয়তো সর্বক্ষেত্রে সফল হতে পারেননি। তবে বিএনপিতে তার অবদান কম নয়। তিনি জেলে গেছেন কোনো টু শব্দ নেই। ঘরে বসে জেলের তালা ভাঙা যায় না। জেলের তালা ভাঙতে হলে সময় মতো যথাস্থানে থাকতে হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, আজকের সভায় যাদের একান্তই থাকার কথা ছিল তাদের উপস্থিতি অত্যন্ত কম। আর যাদের থাকার কথা নয় তারাও আসছেন। এটা সমস্যা । সব মিটিংয়ে সবার আসার দরকার নেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন,  যেকোনো সফলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে ঐক্যবদ্ধতা। কিন্তু আমাদের মধ্যে ইউনিটির অভাব আছে, এটা মুখে না বললেও আমরা বুঝি। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে সব কাজ কার যাবে।

ড. আর এ গণি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির জন্ম থেকে তার মৃত্যু পযর্ন্ত দলের সঙ্গে কখনও অভিমান করে দূরে থাকেননি। এ সময় প্রয়াত নেতা আর এ গণির সম্মানে  এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

এমএম/এসকেডি/পিআর