সোমবার ছাত্রলীগের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৮তম প্রতিতিষ্ঠাবার্ষিকী সোমবার। উপমহাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার এক বছর আগেই ১৯৪৮ সালের ৪ জানয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্র অধিকারের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিটি আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে সংগঠনটি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেয় এই সংগঠন। ‘শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি’র স্লোগান নিয়ে গড়ে ওঠা ছাত্রলীগ বরাবরই গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চা করে আসছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটি রাজধানীসহ সারাদেশে শোভাযাত্রা বের করবে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভারও আয়োজন করেছে ছাত্রলীগ।
কর্মসূচি সমূহের মধ্যে রয়েছে- সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন; সকাল ৮টা ১ মিনিটে কার্জন হলে কেক কাটা, সকাল ১০টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কাকরাইল ও বিজয় নগর মোড় হয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালি।
এছাড়া ৫ জানুয়ারি সকাল ১০টায় কলা ভবনের সম্মুখে বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। ৬ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় টিএসসির সড়ক দ্বীপ সংলগ্ন ডাসে দুঃস্থদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ। ৭ জানুয়ারি সকাল ১১টায় টিএসসি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ ও পাঠচক্র উদ্বোধন এবং ৮ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় টিএসসির সড়ক দ্বীপ সংলগ্ন ডাসে ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ’র উপর বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
এএসএস/এসএইচএস/আরআইপি