ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে বিএনপি

প্রকাশিত: ০৭:১৩ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫

নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে বিএনপি এবং তাদের পক্ষ থেকে অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দুপরে নির্বাচন নিয়ে দলটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজ সকালে বিএনপির পক্ষ থেকে ওসমান ফারুক নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ করেছেন ভোলা পৌরসভায় ১৮টি কেন্দ্র দখল করা হয়েছে।

আমরা তাদের অভিযোগের পর এ বিষয়ে খবর নিয়ে দেখেছি তাদের অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। নির্বাচন কমিশনও এ বিষয়ে খবর নিয়ে দেখেছে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ভোটাররা শান্তিপূর্নভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে বলেও তিনি জানান।

তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ৮নং ভোট কেন্দ্রে বিএনপির সমর্থকরা ব্যালট পেপার ছিনতাই করার চেষ্টা করলে সেখানে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও কুষ্টিয়ার কুমারখালী একটি ভোটকেন্দ্রে বিএনপি সমর্থীত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারণে তাদের সে চেষ্টা ব্যার্থ হয়।

এ ছাড়াও তারা নিশ্চিত পরাজয় জেনে কয়েকটি পৌরসভায় ব্যলট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

যশোরের একটি কেন্দ্রে সংবাদিকদের উপর পরিকল্পিত ককটেল হামলা করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন- এমন কি ঘটনা ঘটেছে যার কারণে সংবাদিকদের উপর হামলা করতে হবে? তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য খুবই পরিষ্কার, সকল ষড়যন্ত্র ব্যার্থ হয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা জন্য এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না এমন প্রমাণের জন্য এ মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বিএনপির ভিতরে শঙ্কা দেখা গিয়েছে। যতই সময় যাচ্ছে ভোটার উপস্থিতি দেখে তাদের মধ্যে পরাজয়ের শঙ্কা ততই ভাড়ছে। তাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে বিএনপি।

ভোটারদের উপস্থিতি প্রমাণ করে তাদের মধ্যে এমন কোনো শঙ্কা নেই। ভোটারদের উপস্থিতির মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।  

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ভোট কেন্দ্র থেকে আধা কিলোমিটার দূরে সংঘর্ষ হয়। এতে এক জন নিহত হয়। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি এটি স্থানীয় সমাজিক সমস্যার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। যার সাথে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচনে জয় পরাজয় যাই হোক আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত আছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গির কবির নানক, সংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসন, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন প্রমুখ।

এএম/এআরএস/এমএস