ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

খালেদা জিয়াকে জরুরি দেশের বাইরে পাঠানো দরকার: ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২১

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি দেশের বাইরে পাঠানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার ভাই আবেদন করেছিলেন, এরপর মন্ত্রীরা যেভাবে কথা বললেন আমরা আশান্বিত হয়েছিলাম, ভেবে ছিলাম বোধহয় অনুমতি পাওয়া যাবে। কিন্তু দেয়নি। এতই প্রতিহিংসা। এ প্রতিহিংসার আগুনে গোটা দেশকে ছারখার করে দিয়েছে। কথায় আছে না—রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট, প্রজা কষ্ট পায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে রাজা এমন হয়েছে, সাধারণ মানুষের দুঃখকষ্ট বোঝার শক্তিও তার নেই। তেল, ডিজেল, কেরোসিনের দাম বাড়ালো। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।

তিনি বলেন, আমরেদর নেত্রী খালেদা জিয়াকে গত তিন বছর ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। যখন তিনি অত্যন্ত অসুস্থ, যখন তার চিকিৎসা দরকার। দেশের বাইরে যাওয়া দরকার। চিকিৎসকরা নিজেরাই বলেছেন, একসঙ্গে অনেকগুলো বিষয়ের চিকিৎসার জন্য আমাদের এখানে কোনো সেন্টার নেই। কোনো হাসপাতাল নেই। তাই, তাকে বাইরে পাঠানো খুব জরুরি।

এসময় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন এতো বড় বড় রামদা-ছুরি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। চিন্তা করা য়ায়। আবার তাদের মন্ত্রীরা বলছে এটা তেমন কিছু না, একটু সাধারণ ঝগড়াঝাঁটি। নির্বাচন কমিশন বলছে, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হয়েছে। সংঘর্ষের দায় আমাদের না। লজ্জা নেই সরম নেই। এ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থ্যা নিয়ে আমরা যে স্বপ্ন দেখি সেটা ধূলিসাৎ করে দিলো।

তিনি বলেন, আমার খুব পরিষ্কার করে বলেছি, এ ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ভেবে লাভ নেই। এসব কিছুর মূলে হচ্ছে সরকার, সব কিছুর মূলে আজকে শেখ হাসিনা। তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে, পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করেছে, রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে—উদ্দেশ্য একটায় এখানে আর কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। তারা বি-রাজনীতির মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসে থাকবে। দেশের সব সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করবে।

জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

কেএইচ/এমএএইচ/জিকেএস