দুর্গাপূজায় গয়েশ্বর রায়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলেন নসরুল হামিদ
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে প্রতিমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে রায়বাড়ির পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান। পরে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে দুপুরের খাবারও খান প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত তিনটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গয়েশ্বর দা’র বাড়িতে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জাগো নিউজকে বলেন, আজ দুপুরে ওনার (গয়েশ্বর চন্দ্র রায়) বাড়িতে গিয়েছিলাম। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করলাম। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক ছিলাম। আমি প্রতিবারই পূজায় যাই, এটা নতুন কিছু নয়।
তিনি বলেন, ‘আমি ২৫ বছর ধরে রাজনীতি করি, তার (গয়েশ্বর) বাড়িতে প্রতিবারই যাওয়া হয়। তারাও তো আমার অনুষ্ঠানে আসেন। আমি তো সবার এমপি। আমি বিএনপিরও এমপি, আওয়ামী লীগেরও এমপি। সব দলের এমপি আমি। কেরানীগঞ্জের সব জনগণের এমপি আমি। প্রতিমন্ত্রী সরকারের। আমার কর্তব্য হচ্ছে, সবার অনুষ্ঠানে, সবার আমন্ত্রণে যাওয়া।’
কেরানীগঞ্জের এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় আরও ২০টির বেশি পূজামণ্ডপে যাবো, তাদের (সনাতন ধর্মাবলম্বী) বাড়িতে যাবো। কে কোন দল করে সেটা আমরা দেখার বিষয় নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা সেটা মানার চেষ্টা করি।’
প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতার বাড়িতে মিষ্টি উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন। এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ পরিবারের অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আজ দুপুরের দিকে কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের মির্জাপুরের রায়বাড়ি মন্দিরে যান। এটা বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়ির পূজামণ্ডপ। স্যার তাদের বাড়িতেও যান এবং কিছু সময় কাটান।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে গয়েশ্বর চন্দ্রের বাড়িতে যাওয়ায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন নসরুল হামিদ। ফেসবুকে তার ওই স্ট্যাটাসে এক ঘণ্টার মধ্যে আট হাজারের বেশি লাইক পড়েছে। মন্তব্য করেছেন প্রায় সাড়ে ৩০০ জন। যার বেশিরভাগই প্রশংসামূলক।
ফেসবুক ব্যবহারকারী আসাদু্ল্লাহ তুষার মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘রাজনীতি ও ধর্মীয় সম্প্রীতির উৎকৃষ্ট উদাহরণ।’ আরিফ মাহমুদ নামে একজন লিখেছেন, ‘সম্পর্কটা এমনি হওয়া উচিত... শুভকামনা রইলো।’
শাহরিয়ার নিপুণ নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির খুব ভালো একটি দৃষ্টান্ত।’ সাগর দেব লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক সৌন্দর্য’।
আরএমএম/এইচএ/জেআইএম