ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে ঘায়েল করতে হবে

প্রকাশিত: ০৪:১৬ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশ বাঁচাতে অান্দোলন নয়, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে ঘায়েল করতে হবে। রোববার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে সম্মান করে দলীয় প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করতে হবে। বিএনপি জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাতে সব ধর্মের মানুষ ভালো থাকে। আর আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করছে। ধর্মীয় পরিচয়ের চেয়ে জাতীয় পরিচয়টাই বড় জিনিস।

জালেমদের হাত থেকে একসঙ্গে দেশ রক্ষার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে অশান্তি অরাজকতা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে। কখনো কোন বিদেশির গায়ে হাত তোলার কথা শুনিনি। আজ সব কিছু আ. লীগ পাল্টিয়ে দিয়েছে। তারা অন্য কোন দল দেখতে চায় না। সব পরিবর্তন করে এমন অবস্থার সৃষ্টি করেছে ফলে কেউ নিরপেক্ষ নেই। বিচার বিভাগে ন্যায় বিচার নেই। আ. লীগের নেতারা খুন করলেও জামিন পায়।

খালেদা জিয়া বলেন, আ. লীগ বলে কোন দল নেই, আছে স্বেচ্ছাচার আর লুটপাট। প্রশাসন কোন কাজ করতে পারে না। আ. লীগ দলীয়করণ করে পুলিশ বাহিনীর সুনাম নষ্ট করছে। গুন্ডালীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ তৈরি করেছে। মা বোনরা নিরাপদ নেই।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, চলন্ত বাসে নির্যাতন আগে শুনিনি। কোথাও নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নেই। প্রার্থণা করবেন যাতে এই জালিম অত্যাচারী সরকারের হাত থেকে দেশ রক্ষা হয়।

দেশ ষড়যন্ত্রে ও কঠিন সংকটের মধ্যে রয়েছে দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সন্তান নিরাপদে ঘরে ফিরে আসবে কি না সেই নিশ্চয়তা নেই। এরা এখন হিংস্র হয়ে উঠেছে।

খালেদা বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে উচ্চ আদালত রং হেডেড বলেছে। আদালক যৌক্তিক কথা বলেছেন। তার অবস্থান গণভবনে হতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, আ. লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছে, গাড়ি পুড়িয়েছে। তারপরও পুলিশ দিয়ে গুলি করার চিন্তা করিনি। কিন্তু তারা বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে রাস্তায় দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়াতো দুরের কথা গুলি করছে।

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অালমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান ও খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এমএম/এআরএস