ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

বিএনপি নেতাদের মানসিক সুস্থতা পরীক্ষা করার আহবান

প্রকাশিত: ১০:০৫ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৪

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি নেতাদের মানসিক সুস্থতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

রোববার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বিএনপি নেতাদের অশোভন ও আপত্তিকর মন্তব্য করার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ড. হাছান বলেন, বিএনপি নেতাদের বলব আপনাদের কথা ডিমেনশিয়া রোগাক্রান্ত অর্বাচীন বুড়োর মতো। ড্যাব নেতাদের বলবো আপনাদের নেতাদের মানসিক সুস্থ্যতা পরীক্ষা করুন।

তিনি বলেন, সজিব ওয়াজেদ জয় সত্য কথা বলেছেন বলেই বিএনপি নেতাদের আঁতে গা লেগেছে। বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজিব ওয়াজেদ জয় পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভাড থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। যা দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। জয় যখন কথা বলেন তখন প্রমাণ ও যুক্তি সহকারে কথা বলেন। তিনি সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।

হাছান বলেন, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয় তা বাস্তব সত্য। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই প্রথম এসেছে।

বিএনপির নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা দয়া করে অশোভন ও অসংলগ্ন কথা না বলে বরং আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন। মিথ্যাচার আর গলাবাজী দিয়ে আপনারা আপনাদের অপকর্ম কখনও ঢাকতে পারবেন না।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জিয়াউর রহমান প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের চর হিসেবে কাজ করেছেন। এ ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানী ব্রিগেডিয়ার বেগের জিয়াউর রহমানের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে তাঁর কাছে লেখা চিঠিই অকাঠ্য প্রমাণ।

ইংরেজীতে লেখা জিয়াউর রহমানকে লেখা চিঠির প্রদর্শন করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন বলেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। সে কারনেই খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার পর জিয়াকেই সেনাবাহিনীর প্রধান করেছিলেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে যুদ্ধাপরাধীদের ভোটের অধিকার দিয়েছিলেন। সেজন্য একাত্তরে পাকিস্তানীদের গুপ্তচরের ভূমিকা পালনকারী জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ৩ নভেম্বর চারনেতার হত্যার প্রধান কুশিলব। সেজন্য কোনভাবেই তাকে মুক্তিযোদ্ধা বলা যায়না।

তিনি আরও বলেন, আর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী জামাতে ইসলামীর সাথে শুধু জোট গঠন নয় তাদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন বিএনপি।

আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুস সাত্তার, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।