‘আপনারা যদি আমার চেয়ে বড় আ.লীগার হন, তাহলে দুঃখ লাগে’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি, আপনারা যদি আমার চেয়েও বড় আওয়ামী লীগার হন, তাহলে দুঃখ লাগে। এখন অনেকেই নব্য আওয়ামী লীগার আমাদের চেয়েও যেন বড় আওয়ামী লীগার। কথায় কথায় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। কিন্তু এটা কী মনের কথা!’
বুধবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয় চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেককেই দেখেছি ১৫ আগস্টের আগে কী বক্তব্য দিয়েছেন। ১৫ আগস্ট ঘটার পর রাতারাতি ভোল পাল্টে ফেলেছে। এ ভোল পাল্টানো আওয়ামী লীগারদের আমার প্রয়োজন নেই।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার আগে ও ১৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশ দেখার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের যত্রতত্র অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তুলেছে। যদি হঠাৎ চোখের পলকে কোনো অঘটন ঘটে যায়, তখন কী এসব ম্যুরাল রাখবেন। যারা করেছেন তারাই ভেঙে ফেলবেন। এই দৃশ্যপট অনেক দেখেছি।’
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সচিবালয়ে একটা স্বস্তির পরিবেশ বজায় রয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সচিবালয়ে কথায় কথায় মারামারি দেখেছি। সচিবালয়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে কর্মবিরতি দেখেছি, ধর্মঘট দেখেছি। অচল করার হুমকিও দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভয় হয়- যখন আমি সচিবালয়ের আশপাশে বিলবোর্ড, পোস্টার আর ব্যানারে আকাশ পর্যন্ত ঢেকে গেছে, এমন পরিবেশ দেখি। চোখের পলকে ১৫ আগস্ট ঘটে গেল, যাদের দেখতাম নব্য আওয়ামী লীগার সেজে মুজিবকোট পরত, ১৫ আগস্টের পর মুজিবকোট লুকানোর দৃশ্যপটও ভুলিনি।’
সরকারি কর্মচারীদের কোনো দলের চামচাগিরি কিংবা তোয়াজ-তোষণ করার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তা-রাজনীতিবিদদের বিরোধ প্রত্যাশিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরএমএম/জেডএইচ/এএসএম