ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভয়ংকর ক্ষতি করছে: ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২১

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে জিয়া পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, দেখেন হঠাৎ করেই কঠোর লকডাউন-টকডাউন সমস্ত উধাও হয়ে গেল। এখন খুললাম-যে যেমন খুশি চলো। হাজার হাজার মানুষ একসাথে চলছে ফিরছে, সব কিছুই করছে। একটা জিনিসই চলছে না এটা হচ্ছে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন শিক্ষা না পায় সেই ব্যবস্থা তারা (সরকার) করছে।

ফখরুল বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই করোনার একটা পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেমন তারা ভ্যাকসিনেশনের জন্য পরিকল্পনা করেছে, তেমন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জীবন-জীবিকার পরিকল্পনা করেছে এবং একই সঙ্গে কিভাবে শিক্ষা দেয়া যায় সেটার জন্য তারা পরিকল্পনা করেছে। আমাদের এখানে কোনো পরিকল্পনা নাই।

অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, অনলাইনে কারা পড়ে? একমাত্র যারা বিত্তশালী মানুষ তারাই অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারে, আর তো কারও পক্ষে সম্ভব নয়। একটা কম্পিউটার যোগাড় করা, একটা মোবাইল সেট যোগাড় করা- সারাদেশে সেটা নাইও। গ্রামে স্কুল যেগুলো আছে সেগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ। পত্রিকায় দেখেছেন যে, ছেলেরা এখন বেলুন বিক্রি করছে, বাদাম বিক্রি করছে। স্কুল বন্ধ এখন তারা বাবা-মাকে সাহায্য করার জন্য এগুলো করছে। অর্থাৎ দে হ্যাভ বিন অলরেডি ডাইভার্টেড। এই যে একটা ভয়ংকর ক্ষতি হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের, সেই ক্ষতিটা মোকাবিলার করার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা তারা (সরকার) সেভাবে নিতে পারেনি। তারা আছে শুধু বিভিন্ন রকম ভুল ব্যাখ্যা ও তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে।

গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির পরিচালিত কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের জন্য ওষুধ সামগ্রী হস্তান্তর উপলক্ষে জিয়া পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় করোনায় ওষুধপত্র দেয়ার জন্য জিয়া পরিষদকে ধন্যবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক এমতাজ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে জিয়া পরিষদের নেতাদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আবু জাফর খান, দেলোয়ার হোসেন, শহীদুল ইসলাম, নীলিমা রহমান লিলি, নুরুন নবী, ইদ্রিস আলী প্রমুখ ছিলেন।

কেএইচ/এমআরআর/এএসএম