ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

গণঅভ্যুত্থানের বিকল্প নেই: ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২১

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৪ বছর ধরে সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি। এবার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটি গণঅভ্যুত্থানের কোনো বিকল্প নেই। আমরা সশস্ত্র সংগ্রামে বিশ্বাস করি না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় অর্জন করতে চাই। গাজী রুহুল আমিন আজ সেই সংগ্রামটাই করছেন, সেই লড়াইটাই করছেন।

রোববার (২২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে সংবিধানের কথা বলছেন। কীসের সংবিধান? সরকার যেটা মুখে বলে সেটাই সংবিধান। আজ আপনারা কোথায় বিচার চাইবেন? বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নিম্ন আদালতে সাত বছর সাজা দেওয়া হয়েছে আর সেটা হাইকোর্টের যাওয়ার পর ১০ বছর করা হয়েছে। যে মামলার ভিত্তি নেই। যে মামলায় দুই কোটি টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটি এখন ওই ব্যাংকে আট কোটি টাকা হয়েছে। এই প্রশ্নগুলো এখন করে আর লাভ নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৪ বছর ধরে দেখছি আমরা প্রেস ক্লাবের বাইরে দাঁড়াবো সেটা দিচ্ছে না। পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলবো সেটাও তারা দিচ্ছ না। অর্থাৎ যখন জনগণ থেকে একটা সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তখন সে পাওয়ার দিয়ে টিকে থাকার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। সরকার সেটাই করছে। আমরা দাবি করবো পেশিশক্তি ব্যবহার না করে এই মুহূর্তে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পদত্যাগ করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিচালনায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গাজী রুহুল আমিনকে বেআইনিভাবে ১০ মাস আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি শুধু একজন সাংবাদিক না, তিনি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। তিনি সর্বদা সত্য কথা বলেন, কাউকে ভয় পান না। যে কারণে আজ তাকে একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। যে আইনে তাকে আটক করা হয়েছে সেটি একটি বিবর্তনমূলক গণবিরোধী আইন। এটি মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী আইন।

তিনি বলেন, গাজী সাহেবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলতে কী বোঝায়? একজন মুক্তিযোদ্ধা কখনো রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না। এই ডিজিটাল সিকিউরিটি মামলায় সংগ্রামের বয়োবৃদ্ধ সম্পাদককে দীর্ঘ সময় আটক করাগারে রাখা হয়েছে। আমার জানামতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে সাড়ে চার হাজার মামলা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে আপনারা জানেন এদেশে যারা স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলছে, গণতন্ত্রের জন্য কথা বলছে তাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা। ওয়ার্ডের একটি কর্মীও বাদ যায়নি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন কয়েকদিন আগে আমাদের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। তারা নিয়ম অনুযায়ী আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিল। সেখানে ১৫/১৬ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিল। তা দেখে সরকার আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গেছে। আসলে সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই তাই একসাথে এত লোক দেখে তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে এবং ১৮৭ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। পায়ের নিচে মাটি না থাকলে এই ভয়টা হয়। সেখানে আমাদের আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, আমিনুল ইসলামসহ অনেক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

নয়া দিগন্তের সম্পাদক মহিউদ্দিন আলমগীরের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানী, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

কেএইচ/বিএ/জিকেএস