ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

সরকারের পতন হবেই : মওদুদ

প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

আজ হোক কাল হোক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই সরকার পরিবর্তন হবেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

জাতিসংঘ ঘোষিত ‘মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রশাসন দিয়ে সরকারের উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনের পদক্ষেপকে ‘ভুল পথ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মওদুদ আহমেদ বলেন,  এর পরিবর্তে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনলে উগ্রবাদ স্তিমিত হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, সরকার ভুল পথে এগোচ্ছে। তাদের বুঝতে হবে পুলিশ-র্যাব দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। তারা নিজেরাও জানেন, পারবেন না। এক্ষেত্রে একটিই পথ আছে, সেটি হচ্ছে দেশে সুষ্ঠুু নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। তাহলে যারা উগ্রবাদী তারা স্তিমিত হয়ে যাবে। তাদের অ্যাক্টিভিটি (কার্যক্রম) কমে যাবে। গণতান্ত্রিক সরকার এলে এগুলো সমাধান হবে। আপনারা (সরকার) এককভাবে এটা সমাধান করতে পারবেন না।

দায়িত্বশীল দল হিসেবে বিএনপি কোনো উগ্রপন্থা মেনে নিতে পারে না জানিয়ে দলের এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘আমরা এটি একসেপ্ট (সমর্থন) করতে পারি না। বিএনপি কোনো জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদে বিশ্বাস করে না। যারা এদের সঙ্গে জড়িত তারা দেশের সুসন্তান না। গণতন্ত্র নাই বলেই এই ঘটনাগুলো ঘটছে।

উগ্রপন্থাকে দমন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মওদুদ।

তিনি বলেন, যদি সরকার সত্যিকার অর্থে উগ্রবাদকে দমন করতে চান। তাহলে তাদেরকেই সমঝোতার উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা সহযোগিতা করবো। যদি না করেন, ভাববো তারা জঙ্গিবাদ দমনে আন্তরিক নন।

মওদুদ আহমেদ দাবি করে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এটা বন্ধ করতে চাইলে দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। এছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।

দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার, আইনের শাসন, মানবাধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কিছুই নেই বলে দাবি করে বিএনপির এই নেতা।

বিএনপির নিখোঁজ নেতাকর্মীদের স্মরণ করে তিনি বলেন, এমন কোনো ভাষা নেই যা দিয়ে তাদের দুঃখ মোচন করতে পারবো। এই দুঃখ কিভাবে শেয়ার করি। যার দুঃখ তারই ব্যথা।

মওদুদ আহমেদ বলেন, সবচেয়ে খারাপ লাগে দেশে গুম-অপহরণের মতো ঘটনা ঘটে। অথচ সরকারের সিনিয়র নেতারা বলেন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। অন্য দেশের তুলনায় ভালো আছে। দেশে নাকি কোনো বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। তারা বলতে পারেন, দেশে এসব ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো।

আলোচনা সভার আগে ‘গুম হওয়া’ ছাত্রদল নেতা চঞ্চলের ৫ বছরের ছেলে আহাদ, ছাত্রদল নেতা সুমনের বোন মারুফা ইসলাম, আবদুল কাদের ভূঁইয়া মাসুমের মা আয়েশা আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কাউসারের স্ত্রী মিনু, বংশাল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হোসেনের মেয়ে হৃদি, ছাত্রদল নেতা নিজাম উদ্দিন মুন্নার বাবা শামসুদ্দিন, সোহানের পিতা মো. শামসুর রহমান, মো. জহিরের মা হোসনে আরা বেগম, খালিদ হাসান সোহলের স্ত্রী সৈয়দা শাম্মী সুলতানা, সেলিম রেজা পিন্টুর ভাই রাজীব হাসান তনু তাদের নিখোঁজ স্বজনদের ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।   

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যার আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও বিএনপি নেতাদের মধ্যে ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএম/একে/আরআইপি