ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

কিবরিয়া হত্যা : আবারও হলো না সাক্ষ্যগ্রহণ

প্রকাশিত: ০১:১৭ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় বুধবার আবারও সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে। এ নিয়ে ১১ দফা আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছালো।

বুধবার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও সাক্ষি এবং পর্যাপ্ত আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান সাক্ষ্য গ্রহণ করেননি।

ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে জানান, বুধবার আদালতে সাক্ষি ও পর্যাপ্ত আসামিও আসেননি। কারান্তরীণ ১৪ আসামির মধ্যে মাত্র পাঁচজন হাজির ছিলেন। এজন্য আদালতের বিচারক সাক্ষ্য গ্রহণ করেননি। বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন বিচারক।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে আটজন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর সাক্ষি উপস্থিত হলেও পর্যাপ্ত আসামি উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। তার আগের দিন ২ ডিসেম্বর সাক্ষি উপস্থিত না থাকায় এবং পর্যাপ্ত আসামি আদালতে হাজির না থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

গত ২৫ নভেম্বর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। ১৯ নভেম্বর হরতাল থাকায় আদালতে আসামি ও সাক্ষিরা হাজির হতে না পারায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। ১১ নভেম্বরও পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। পরদিনও সাক্ষিরা হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে যায়।

এরও আগে ৪ নভেম্বর এবং ২৮ ও ২৯ অক্টোবর আদালতে পর্যাপ্ত আসামি উপস্থিত না থাকায় আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি।

২১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন বাদীপক্ষ আদালতে সাক্ষিদের হাজির করতে না পারায় বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান।

২১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রসঙ্গত, টানা নয় দফা চার্জ গঠনের তারিখ পেছানোর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়।

মামলার কারান্তরীণ ও জামিনে থাকা সকল আসামির উপস্থিতিতে মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়।

অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিকের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান প্রমুখ।

গত ২১ জুন, ৬, ১৪ ও ২৩ জুলাই এবং ৩, ১০, ১৮, ২৫ আগস্ট ও ৬ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সকল আসামি আদালতে হাজির করতে না পারায় চার্জ গঠনের তারিখ পিছিয়ে যায়।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী।

এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।

হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল­াহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।
    
ছামির মাহমুদ/এমজেড/এমএস