ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

‘বিএনপির এমপির কাছে খালেদার চেয়েও পরীমনি বেশি গুরুত্বপূর্ণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, ২১ জুন ২০২১

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার চেয়েও চিত্রনায়িকা পরীমনি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (২১ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

পরীমনির প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের কোথায় কে গিয়ে মধ্যরাতে মদ্যপান করল আর সেখানে মদপান করে ভাঙচুর হলো, সেই ভাঙচুরের প্রেক্ষিতে সেখানে কিছু ঘটনা ঘটল। সেটি কি জাতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ? কে কোথায় মধ্যরাতে মদপান করে কোন ঘটনা ঘটালো, সেটি নিয়ে যেভাবে সবাই মত্ত হয়ে গেল। বিষয়টি কি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিলে? এটি একটি বাজে বিষয়। আমি এটি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না ‘

কেউ হেনস্তা হলে সেটি যেমন ঠিক নয়, তেমনি কেউ অহেতুক হয়রানি হওয়াও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংসদে পরীমনির বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদের আলোচনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতাকে দেখলাম এ বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে সংসদে বক্তব্য রেখেছেন। আমার কাছে মনে হলো তার কাছে বেগম খালেদা জিয়ার চেয়েও চিত্রনায়িকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। সেজন্য এটা নিয়ে তিনি সংসদে বেশ কয়েক দিন বক্তব্য রেখেছেন।’

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ও তার মিত্ররা এসব অপচেষ্টা চালায়। আবার বাংলাদেশে কিছু ব্যক্তি আছেন, যারা মনে করেন তারা মহাজ্ঞানী। যখন নিজেরা মনে করেন তারা মহাজ্ঞানী, অপরের ভুল না ধরলে তিনি যে জ্ঞানী সেটি প্রমাণ করার সুযোগ হয় না। সেজন্য সব বিষয়ে ভুল ধরার জন্য কিছু ব্যক্তি আছেন। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা দেশের কোনো অগ্রগতি নিয়ে প্রশংসা দেখতে পাই না। শুধু দেশের সমালোচনায়ই ব্যস্ত। এ প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্যই দরকার আছে। তারা কোনো জায়গায় কোনো কিছুর ব্যত্যয় হলে সমালোচনা করবে। কিন্তু একই সঙ্গে দেশের কোনো অগ্রগতি, অর্জন হলে সেটির প্রশংসা করাও দায়িত্ব, এরা এগুলো করছেন না। এগুলোর সঙ্গে কিছু কিছু কাগজেও এদের কথাগুলো ফলাও করে প্রচার করা হয়। সুতরাং এদের সবাই চেনে।’

আইএইচআর/ইএ/জিকেএস