ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে : ন্যাপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, ১৯ জুন ২০২১

চলমান পরিস্থিতিতে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার দ্বি-মুখী আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, অটোপাস আর প্রমোশন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাবে। জ্ঞান অর্জনের ধারায় কোনো শর্টকাট পদ্ধতি নেই। সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা আমাদের মূর্খ জাতিতে পরিণত করবে। দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। সুতরাং শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

শনিবার (১৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘দেশে অফিস-আদালত, গার্মেন্টস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শপিংমল সবই খোলা আছে কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? প্রকৃত অর্থে সরকারের মধ্যে থাকা বৈষম্যের নীতিই এর মূল কারণ। সরকারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশের সন্তান বিদেশে থাকে। যাদের পরিবার-পরিজনের কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু সমস্যা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের। এদের প্রতি তাদের কোনো মাথাব্যথা নাই।’

বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় তবে কি আজীবন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে প্রশ্ন করে ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে একটানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা ছাড়া বন্দি জীবনযাপন করছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে, শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়ছে, বাল্যবিবাহের প্রবণতা বাড়ছে, অনেকে মোবাইলে আসক্ত হচ্ছে, মাদকাসক্ত ও কিশোর গ্যাংয়ের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। অনেক কিশোরী টিকটকের মতো অশ্লীলতায় জড়িয়ে পড়ে নারী ও শিশু পাচারকারীদের বিভিন্ন প্রলোভনে বিদেশে পাচারের শিকার হচ্ছে।’

তারা আরও বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা জ্ঞানচর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে আগামী প্রজন্ম। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী করোনাকালে গত ১৫ মাসে ১৫১ জন শিক্ষার্থী মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। তাই, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছাত্র ও শিক্ষকদের করোনার টিকা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে হবে।’

কেএইচ/এসএস/এমএস