ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

সন্ত্রাসীরা একজোট হয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের খেলায় মেতেছে

প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫

আশির দশকের গণতন্ত্র হত্যাকারী পতিত স্বৈরাচার ও ৭২-৭৫ সময়ের সন্ত্রাসীরা একজোট হয়ে দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংসের খেলায় মেতেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারিতে একতরফা নির্বাচন করে আবারো পুরো জাতিকে একদলীয় নিষ্ঠুর শাসনের শৃঙ্খলে বন্দী করে মানুষের সকল মৌলিক মানবাধিকারকে বর্তমান শাসকদল তার পুরনো একদলীয় বাকশালী চেতনায় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংসের খেলায় মেতেছে।  

তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৯০ সালের এ দিনে দীর্ঘ নয় বছরের সামরিক ও অগণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে এক সফল আন্দোলনের পর পতন ঘটেছিলো তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের। স্বৈরশাসক এরশাদ ‘৮২’র ২৪ মার্চ পেশাগত সততা ও শপথ ভেঙ্গে বন্দুকের নলের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যূত করে সাংবিধানিক রাজনীতিকে কুঠারাঘাত করেছিল।

খালেদা জিয়া বলেন, বহুদলীয় রাজনীতির পুনঃপ্রবর্তন করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তার ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ করে ক্ষমতালিপ্সু স্বৈরাচারী এরশাদ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমূহকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করেছিল। কিন্তু ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে স্বৈরাচারকে পরাজিত করার এ দিনে শৃঙ্খলিত গণতন্ত্র মুক্ত হয়েছিলো আমাদের দেশে।

তিনি বলেন, আজকের এ দিনে আমি ‘৮২ থেকে’৯০ পর্যন্ত রক্তস্নাত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এ অবিস্মরণীয় দিনে আমি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী গণতন্ত্র ও মুক্তিকামী দেশবাসীকে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, স্বাধীনতার চুয়াল্লিশ বছরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র বার বার হোঁচট খেয়েছে এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রা ব্যাহত হয়েছে গণবিরোধী শাসনের মুখে। কিন্তু এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ সকল বাধাকে অতিক্রম করে সকল সময়ে গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘ্ন করেছে।

তিনি বলেন, অসংখ্য শহীদের রক্তস্নাত অর্জিত গণতন্ত্র এখন আবারো সংকটের মুখে। বিনা ভোটের কর্তৃত্ববাদী সরকারের একদলীয় শাসনের চরিত্রগুলো ক্রমেই প্রকাশ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর ফ্যাসিবাদী আচরণে।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল দলের মিলিত ইচ্ছায় যে নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা এরা সংবিধান থেকে মুছে দিয়েছে। বর্তমান বিনা ভোটের সরকার সংবিধানে বর্ণিত জনগণের মৌলিক অধিকার সম্পূর্ণভাবে হরণ করেছে। দেশে আজ গণতন্ত্রের বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই। যে স্বপ্ন নিয়ে এদেশের মানুষ ‘৯০ সালে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছিল-জনগণের সকল আকাঙ্খা, স্বপ্ন আজ এই কর্তৃত্ববাদী সরকার তছনছ করে দিয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনার সাথে বেঈমানি করছে। তাই আজ ‘৯০’র চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার নতুন সংগ্রামে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

এমএম/এসএইচএস/আরআইপি