ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

যে কারণে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেনি বিএনপি

প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫

পৌরসভা নির্বাচনে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রার্থীদেরকে মনোনয়নপত্র দেয়া শেষ হলেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সব প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি বিএনপি। এ নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ২৩১টি পৌরসভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করে মনোনয়নপত্র দেয়া হয়েছে। আর জোটগত বিষয়টি ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে চূড়ান্তভাবে প্রার্থীদেরকে মনোনয়ন দেয়ার পরও প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ না করায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের প্রতি সন্দেহের তীর তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা সিন্ডিকেটের কবলে আবার বিএনপি পড়ছে কি-না তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, আসন্ন পৌর নির্বাচনকে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে দেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি। এ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে এমনটি প্রত্যাশা অনেক নেতাকর্মীদের। তাই কৌশল হিসেবে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে চাপে রাখতে চায় দলটি। মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষে চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে পর্যায়ক্রমে মনোনীত নেতাদের প্রত্যয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। রাজবাড়ী, নাটোর, মাদারীপুরের প্রত্যয়ন নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। খোদ চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারা ক্ষোভ দেখায়! প্রথম দিন উৎসব মুখর পরিবেশ থাকলেও দ্বিতীয় দিনে ছিল তার উল্টো।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে যারা প্রত্যয়ন পেয়েছেন অর্থাৎ আসন্ন পৌর নির্বাচনে যারা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পৌর মেয়র পদে ভোটযুদ্ধে লড়বেন তাদের তালিকা কৌশলগত কারণে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলটির দায়িত্বশীল নেতাদের দাবি, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে সারাদেশে নেতাকর্মীদের হয়রানি চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আবার নতুন করে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতে পারে।’

বিএনপির পৌর নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘সারাদেশে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। অভিযানের নামে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করছে। এ অবস্থায় মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পৌর নির্বাচনকে বিএনপি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।’

পৌর নির্বাচনে অংশ নেয়ার ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে রয়েছে অস্বস্তি। বিশেষ করে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দল এবং জোট নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর পৌরসভায় বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন জাহাঙ্গীর কামাল। ২০০১ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া খুলনা সফরের পথে কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে হামলার শিকার হন। সে ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান খানের দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামি এই জাহাঙ্গীর কামাল। মামলার এজাহারে তার নাম রয়েছে আসামির তালিকায় ১৫ নম্বরে।

জানা গেছে, অন্যান্য জেলার মতো মাদারীপুর জেলা বিএনপির নেতারা বৈঠকের মাধ্যমে একমত হয়ে সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে কিছু নাম সুপারিশ করেছিল। সে সুপারিশে শিবচর পৌরসভায় জেলা নেতাদের সমর্থন পেয়েছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম শফিক।

অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা মামলার আসামি হিসেবে যে চার্জশিট রয়েছে তার ফটোকপি বুধবার বিকেলে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিলি করেন শিবচর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রুমান।

তবে জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য মনে করেন, ‘যে কেউ ভুল করতেই পারে। ভুল করার পর ক্ষমা চেয়ে কেউ সঠিক পথে চলতে চাইলে তাকে সে সুযোগ দেয়াও উচিত।’

তবে ছোটখাটো দলীয় কোন্দলকে গুরুত্ব না দিয়ে নির্বাচনে মনোযোগ দিতে চায় দলটি। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে ভরসা দেখছে বিএনপি। কমিশনের কার্যক্রমে বিএনপির পক্ষ বেশিরভাগ সময় জোরালো সমালোচনা করলেও কমিশনের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টিও রয়েছে অনেক নেতার।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এম ওসমান ফারুক বলেন, ‘নির্বাচন অন্তত ১৫ দিন বাড়িয়ে দিলে সুন্দর স্বচ্ছভাবে প্রার্থী নির্বাচন সম্ভব হতো। কিন্তু আইনের দোহাই দিয়ে সেটি করা হয়নি, সেজন্য আমরা একটু হতাশ হয়েছি। আমরা একদিকে আনন্দিত যে আচরণবিধি পরিবর্তন করেনি।

তিনি বলেন, এর ফলে আমি মনে করি যে নির্বাচনে যদি আমরা যাই তাহলে লেভেল প্লেইং ফিল্ড অনেকটা নিশ্চিত হবে। এ কারণে যে, এমপিরাও তাদের প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। কিন্তু এখন তা পারবেন না।’

এদিকে বিভিন্ন সূত্র থেকে বিএনপির যেসব প্রার্থীদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন:

ঢাকা বিভাগ
ঢাকার ধামরাইয়ে দেওয়ান নাজিমউদ্দিন, গাজীপুরের শ্রীপুরে শহীদ উল্লাহ শহিদ, নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মোশাররফ হোসেন, তারাবোতে নাসিরউদ্দিন, মানিকগঞ্জ পৌরসভায় নাসির উদ্দিন আহমেদ যাদু, সিংঘাইরে খুরশেদ আলম, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভায় একেএম ইরাদাত মানু, মীরকাদিমে মো. শামসুর রহমান বিএনপির প্রতীক পেয়েছেন।

টাঙ্গাইল পৌরসভায় মাহমুদুল হক, মির্জাপুরে হজরত আলী মিয়া, ভুয়াপুরে আবদুল খালেক মন্ডল, সখীপুরে নাসিরউদ্দিন, গোপালপুরে খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল, কালিহাতীতে আলী আকবর, ধনবাড়িতে এসএমএ সোবহান, মধুপুরে শহিদুল ইসলাম, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আবুল কাশেম, পাংশায় চাঁদ আলী খান। নরসিংদী পৌরসভায় সাইফুল ইসলাম, মাধবদিতে মো. ইলিয়াছ, মনোহরদিতে মাহমদুল হক বিএনপির প্রতীক পেয়েছেন।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় সাইফুল ইসলাম মুকুল, বোয়ালমারিতে আবদুস শুকুর, গোপালগঞ্জে পৌরসভায় তৌফিকুল ইসলাম, টঙ্গিপাড়ায় মো. রাজু খান, শরীতপুর পৌরসভায় নাসিরউদ্দিন কালু, নড়িয়ায় সোহেল ব্যাপারী, ডামুড্যায় আলমগীর মাতবর, জাজিরায় ইকবাল হোসেন, ভেদরগঞ্জে গোলাম মোস্তফা, মাদারীপুর পৌরসভায় মিজানুর রহমান মুরাদ, শিবচরে জাহাঙ্গীর কামাল ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে আজমত আলী বাহাদুর, বাঁশখালীতে কামরুল ইসলাম হোসাইনি, সাতকানিয়ায় রফিকুল আলম, মীরসরাইয়ে রফিকুল ইসলাম পারভেজ, রাউজানে আবদুল্লাহ আল হাসান, বারইয়ারহাটে মাইনুদ্দিন লিটন, রাঙ্গুনিয়ায় হেলাল উদ্দিন, সীতাকুন্ডের আবল মনসুর, পটিয়ায় তহিদুল আলম বিএনপির পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রত্যয়ন পেয়েছেন।

খাগড়াছড়ি পৌরসভায় আবদুল মালেক, মাটিরাঙ্গায় বাদশা মিয়া, বান্দরবান পৌর সভায় জাবেদ রাজা, লামায় আমির হোসেন, রাঙামাটি পৌরসভায় সাইফুল ইসলাম ভুট্টোকে প্রত্যয়ন দিয়েছে বিএনপি।

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে টিএমআই খলিল, চৌদ্দগ্রামের নয়ন বাঙালি, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভায় আব্দুল মান্নান খান, ছেংগার চরে সারোয়ারুর আবেদীন, ফরিদগঞ্জের মো. হারুন অর রশিদ, কচুয়া পৌরসভায় হুমায়ুনর কবির প্রধান, মতলবের এনামুল হক বাদল, ব্রাক্ষবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিএনপির প্রতীক পেয়েছেন।

নোয়াখালী পৌরসভায় হারুনুর রশীদ আজাদ, হাতিয়ায় কাজী আবদুর রহিম, চাটখিলে মোস্তফা কামাল, চৌহমনীতে হারুনুর রশীদ হারুন, বসুরহাটে কামাল আহমেদ চৌধুরী, ফেনী পৌরসভায় ফজলুর রহমান বকুল, দাঁগনভুইয়ায় কাজী সাইফুর রহমান স্বপন, পরশুরামে মুস্তাহিদুল ইসলাম মাসুদ, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে রুম্মন পাটোয়ারি, রামগতিতে সাহেদ আলী পটু, রায়পুরে এসএম জিলানি বিএনপির প্রতীকে মেয়র নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহীর নওহাটায় শেখ মকবুল হোসেন, দুর্গাপুরে সাইদুর রহমান (মন্টু), কেশরহাটে আলাউদ্দিন আলো, তাহেরপুরে আবু নাঈম মো. সামছুর রহমান (মিন্টু), কাঁকনহাটে হাফিজুর রহমান, আড়ানীতে তোজাম্মেল হক, তানোরে মিজানুর রহমান মিজান, চারঘাটে জাকিরুল ইসলাম, মুণ্ডুমালায় ফিরোজ কবীর, গোদাগাড়ীতে আনোয়ারুল ইসলাম, ভবানীগঞ্জে আব্দুর রহমান প্রামানিক, তানোরে মিজানুর রহমান মিজান, কাটাখালীতে মাসুদ রানা, পুঠিয়ায় বাবুল হোসেন লাণ্টু।

নাটোর পৌরসভায় শেখ ইমদাদুল হক আল-মামুন, নলডাঙ্গায় আব্বাছ আলী, গুরুদাসপুরে মশিউর রহমান বাবুল, বড়াইগ্রামে ইসাহাক আলী, সিংড়ায় শামীম আল রাজি মো. শিহানুর রহমান ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হচ্ছেন।

পাবনা পৌরসভায় নুর মোহাম্মদ মাছুম (বগা), ঈশ্বরদীতে মোকলেছুর রহমান (বাবলু), সাঁথিয়ায় সিরাজুল ইসলাম, সুজানগরে আজম আলী বিশ্বাস, চাটমোহরে আব্দুর রহিম কালু, ভাঙ্গুড়ায় মজিবর রহমান, ফরিদপুরে এনামুল হক বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় মোকাদ্দেস আলী, শাহজাদপুরে নজরুল ইসলাম, উল্লাপাড়ায় বেলাল হোসেন, রায়গঞ্জে নুর সাঈদ সরকার, বেলকুচিতে আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, কাজীপুরে মাসুদ রায়হান মুকুল বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন।

বগুড়া পৌরসভায় মাহবুবুর রহমান, শেরপুরে স্বাধীন কুন্ড, সারিয়াকান্দিতে টিপু সুলতান, গাবতলীতে সাইফুল ইসলাম, আদমদিঘীতে তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু, কাহালুতে আবদুল মান্নান ভাটা, ধুনটে আলীমউদ্দিন, নন্দীগ্রামে সুশান্ত কুমার শান্ত, শিবগঞ্জে আব্দুল মতিন ধানের শীষ প্রতীকে প্রত্যায়ন হয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জে শফিকুল ইসলাম, নাচোলে মো. কামারুজ্জামান, নওগাঁও পৌরসভায় নাজমুল হক সনি, নজিপুরে আনোয়ার হোসেন, মেহেরপুরের গাংনিতে ইনসারুল হক বিএনপির প্রতীক পেয়েছেন। জয়পুরহাট পৌরসভায় শামসুল হক, কালাইয়ে সাজ্জাদুর রহমান তালুকদার পাচ্ছেন ধানের শীষ প্রতীক।

খুলনা বিভাগ
খুলনার চালনায় শেখ আবদুল মান্নান, সাতক্ষীরা পৌরসভায় তাসকির আহমেদ, কলারোয়ায় আখতারুল ইসলাম প্রত্যয়ন পেয়েছেন বিএনপির।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় খন্দকার আবদুল জব্বার, দর্শনায় মহিদুল ইসলাম, জীবননগরে নওয়াব আলী, আলমডাঙ্গায় মীর মহিউদ্দিন, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে একেএম সালেহউদ্দিন বুলবুল, মহেশপুরে নাজিবুদ্দৌলা, হরিনাকুন্ডে জিন্নাতুল হক, শৈলকুপায় খলিলুল রহমান, কুষ্টিয়া পৌরসভায় কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মিরপুরে আব্দুল আজিজ খান, কুমারখালীতে তরিকুল ইসলাম, খোকসায় রাজু আহমেদ ধানের শীষ প্রতীকে প্রত্যায়ন পেয়েছেন।

যশোরের পৌরসভায় মারুফুল ইসলাম, নোয়াপাড়ায় রবিউল হোসেন, মনিরামপুরে শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, বাঘারপাড়ায় আব্দুল হাই মনা, চৌগাছায় সেলিম রেজা আউলিয়া, কেশবপুরে সামাদ বিশ্বাস, মাগুরা পৌরসভায় ইকবাল আখতার খান, নড়াইল পৌরসভায় জুলফিকার আলী, কালিয়ায় এসএম ওয়াহিদুজ্জামান আলীকে প্রত্যয়ন দিয়েছে বিএনপি।

বরিশাল বিভাগ
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে গিয়াসউদ্দিন দীপেন, বাকেরগঞ্জের মতিউর রহমান মোল্লা, উজিরপুরে শহীদুল ইসলাম, ঝালকাঠির নলছিটির মুজিবুর রহমান, পিরোজপুর পৌরসভায় আবদুর রাজ্জাক মুনাম, স্বরূপকাঠিতে শফিকুল ইসলাম ফরিদ, বরগুনা  বেতাগীতে হুমায়ুন কবির, পাথরগাটায় মল্লিক মো. আইয়ুব, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা আবদুল আজিজ মুন্সী, ভোলা পৌরসভায় হারুনুর রশীদ, বোরহানউদ্দিনের মনিরুজ্জমান, দৌলতখানে আনোয়ার হোসেন ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন।

সিলেট বিভাগ
সিলেটের জকিগঞ্জে বদরুল হক বাদল, কানাইঘাটে আবদুর রহিম, গোপালগঞ্জে শাহীন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ পৌরসভায় অধ্যক্ষ শেরগুল, ছাতকে শামসুর রহমান, দিরাইয়ে মাইনুদ্দিন চৌধুরী, জগন্নাথপুরে রাজু আহমেদ, মৌলভীবাজার পৌরসভায় অলিউর রহমান অলি, কমলগঞ্জে আবু ইব্রাহিম জমসের, কুলাউড়ায় কামালউদ্দিন আহমেদ, বড়লেখায় আনোয়ারুল ইসলাম, হবিগঞ্জ পৌরসভায় জি কে গউস, নবীগঞ্জে সাবেরুল হক, মাধবপুরে হাবিবুর রহমান মানিক, শায়েস্তাগঞ্জে ফরিদ আহমেদ আলিম, চুনারুঘাটে নাজিমউদ্দিন সামসু বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগ
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শহিদুল ইসলাম, ত্রিশালে আমিনুল ইসলাম, ফুলপুরে আমিনুল হক, ঈশ্বরগঞ্জে ফিরোজ আহমেদ বুলু,  শেরপুর পৌরসভায় আবদুর রাজ্জাক আশীষ, নালিতাবাড়িতে আনোয়ার হোসেন, নকলায় মোখলেছুর রহমান, শ্রীবর্দীতে আবদুল হাকিম, গফরগাঁওয়ে শাহ আবদুল্লাহ আল মামুন দলের মনোনয়ন পেয়েছেন।

জামালপুর পৌরসভায় শাহ মো. ওয়ারেস আলী মামুন, ইসলামপুরে রেজাউল করীম, মাদারগঞ্জে মোশাররফ হোসেন তালুকদার, দেওয়ানগঞ্জে একেএম মুসা, মেলান্দহে হাজী দিদার পাশা, সরিষাবাড়িতে একেএম ফয়জুল কবির তালুকদার শাহিন।

নেত্রকোনা পৌরসভায় এসএম মনিরুজ্জামান দুদু, মদনে মাশরিকুর রহমান, মোহনগঞ্জে মাহবুবুন নবী শেখ, দুর্গাপুরে মো. জামাল উদ্দিন, কেন্দুয়ায় শফিকুল ইসলাম বিএনপির প্রতীক পেয়ে মেয়র নির্বাচন করছেন।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মহিউদ্দিন বানাতকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রামের চন্দনাইশের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) আসনটি ছেড়ে দেয়া হয়।

রংপুর বিভাগ
পঞ্চগড় পৌরসভায় তৌহিদুল ইসলাম পেয়েছেন বিএনপির প্রত্যয়নপত্র। ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফয়সাল আমিন, পীরগঞ্জে রাজিউর রহমান রাজু, রাণীশংকৈলে শাহজাহান আলী ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন।

রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভায় পরিতোষ চন্দ্র চক্রবর্তী মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন। লালমনিরহাট পৌরসভায় আবদুল হালিম, পাটগ্রামে এ কে মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেলকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন শাহজাহান।

গাইবান্ধা পৌরসভায় মো. শহিদুজ্জামান শহীদ, গোবিন্দগঞ্জে ফারুক আহম্মেদ, সুন্দরগঞ্জে মশিউর রহমান সবুজ বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন। কুড়িগ্রাম পৌরসভায় মো. নুরুল ইসলাম (নুরু), নাগেশ্বরীতে আদম আলী, উলিপুরে তারিক আবুল আলা চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হচ্ছেন।

দিনাজপুর পৌরসভায় জাহাঙ্গীর আলম, ফুলবাড়িতে সাহাদাত আলী, বীরগঞ্জে আমিরুল বাহার, বিরামপুরে আশরাফ আলী মন্ডল, হাকিমপুরে শওকত হোসেন শিল্পী, নীলফামারীর সৈয়দপুরে আমজাদ হোসেন সরকার, জলঢাকায় ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

এমএম/বিএ