দুনীর্তি নয় ক্ষমতার অপব্যবহার মামলা : খন্দকার মাহবুব
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি মামলা নেই উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে সেগুলো ক্ষমতার অপব্যবহারের মামলা বলে মন্তব্য করেছেন চেয়ারপারসেনর উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির নিজ কার্যাালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, আপনারা এ মামলাগুলোকে দুর্নীতির মামলা বলবেন না। সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের সময় দুর্নীতির মামলা বলে ঢালাওভাবে প্রচার করবে না। এগুলো ক্ষমতার অপব্যবহারের মামলা।
তিনি বলেন, একই ধরণের মামলা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও করা হয়েছে কিন্তু তিনি এসব মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন। এ মামলা গুলোর একটি হলো নাইকো মামলা। যে মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে আগামীকাল (সোমবার) নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি গণতান্ত্রিক দল, বেগম খালেদা জিয়াও আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
খন্দকার মাহবুব আরো বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) কোনো দুর্নীতি করেননি। প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তিনি নিয়ম অনুযায়ী একটি সই করেছেন। এমন সই দ্বায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রীর যিনি থাকেন তাকেই করতে হয়। চুক্তিতে সই করে তিনি দুর্নীতির মামলার আসামি। অথচ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে একই ধরণের অভিযোগে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে।
উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে ন্যায় বিচারে বিষয়টি প্রমাণ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি -যোগ করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লা মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ জুন নাইকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।একইসঙ্গে মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তি করে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে দুদক।
এফএইচ/আরএস/পিআর