করোনায় ১০ লাখ মাস্ক বিতরণ করবে যুবলীগ
করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের মতো দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও মানুষের পাশে থাকবে যুবলীগ। সারাদেশের মানুষকে সচেতন করার জন্য ১০ লাখের বেশি মাস্ক বিতরণ করবে সংগঠনটি। সোমবার (১২ এপ্রিল) যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এ ঘোষণা দেন।
এদিন রাজধানীর ফার্মগেইট এলাকায় ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী ফ্রি মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় তিনি বলেন, গত বছর করোনার প্রথম ধাপ থেকেই যুবলীগ মাঠে থেকে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করেছে। মরদেহ দাফন ও ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়েছে। ৪৫ লাখ অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ধাপে এসেও যুবলীগ মানুষের পাশে থাকবে।
নিখিল বলেন, এরই মধ্যে আমরা একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। সাধারণ মানুষকে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করছি। সারা বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি মাস্ক বিতরণ করা হবে।
হেফাজত ইসলামকে উদ্দেশ করে যুবলীগের এই নেতা বলেন, এই করোনা মহামারিতে হেফাজত ইসলামী নেতাদের ভূমিকা কি ছিল? তা আপনারা জানেন। তারা কখনো সাধারণ মানুষের পাশে ছিল না এবং সব সময় রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত ছিল।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া হবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের টেলিমেডিসিন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, টেলিমেডিসিন বিভাগের সমন্বয়ক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, উপ-দফতর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, টেলিমেডিসিন বিভাগের সমন্বয়ক ও সহ-সম্পাদক ডা. মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া রাফি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেনসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতারা।
এসইউজে/এআরএ/এমকেএইচ