‘ক্ষমতায় থাকার হাতিয়ার হিসেবে সাম্প্রদায়িকতা ব্যবহৃত হয়’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘ধর্ম মানুষকে সাম্প্রদায়িকতা শেখায় না। তারপরও সাম্প্রদায়িকতার বিষয়টি আসে। আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতায় থাকার হাতিয়ার হিসেবে সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করে।’
সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ বৈঠকের আয়োজন করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
মান্না আরও বলেন, ‘আজকের এই জনপদ হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এটা ঠিক এই উপমহাদেশে বিশাল আকারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। খুশবন্ত সিংং একটি বই লিখেছেন “ট্রেন টু পাকিস্তান”। ভারত বিভক্তির আগে ট্রেনভর্তি লাশ পাওয়া গিয়েছিল। আসলে ক্ষমতাসীনরাই এমনটাই করে।’
সরকারের সমালোচনা করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘ক্ষমতাশীল সরকার সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তারক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়েছিল। ভারতের সঙ্গে এমন ভালো সম্পর্ক, তবুও ওখানে বিক্ষোভ হয়েছে। তাহলে তারা (সরকার) কি করে ? তারাই এই সংবাদ বাংলাদেশের কোনো মিডিয়ায় প্রকাশ করতে দেয়নি।’
মান্না আরও বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের সঙ্গে অনেক বছর কাজ করেছি। আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে, অর্থাৎ গত ১২ বছরে সবচেয়ে বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল হয়েছে। হিন্দু মেয়েদের সতীত্বের ওপর আঘাত করা হয়েছে। এই আঘাত কারা করেছে ? যে দলের মধ্যে পাপিয়া, জি কে শামীম , সাবরিনা ও শাহেদ রয়েছে সে দলের পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব।’
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সুকমল বড়ুয়া প্রমুখ।
কেএইচ/এসএস/জেআইএম