ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া জড়িত নন : খোকন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪২ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত নন। আমি শেখ হাসিনার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করলাম জিয়াউর রহমান জড়িত তা প্রমাণ করেন।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে এক মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

খোকন বলেন, ১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমানের কোনো ভূমিকা ছিল না। সেদিন সব ভূমিকা ছিল মুশতাকের। সেই মুশতাক কে? তিনি হলেন আওয়ামী লীগের নেতা। তার মন্ত্রিসভায় সব আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। তাদের শপথ পড়িয়েছেন এইচটি ইমাম। সেই শপথ অনুষ্ঠানে তৎকালীন সেনাপ্রধান সফিউল্লাহসহ সবাই গিয়েছিলেন একমাত্র জিয়াউর রহমান যাননি। তারপরও আওয়ামী লীগ বলে জিয়াউর রহমান জড়িত। তাহলে প্রমাণ করেন। আমি শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করলাম প্রমাণ করতে হবে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি-না।

৭ নভেম্বরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ দুবার স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। পরবর্তী পাঁচ বছর ভারতের আধিপত্য থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর জনতা সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছেন।

আওয়ামী লীগকে পুনর্জন্ম দিয়েছে জিয়াউর রহমান মন্তব্য করে খোকন বলেন, বাকশাল কায়েম করে আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়েছিল। বিলুপ্ত হয়েছিল। সেই আওয়ামী লীগকে পুনর্জন্ম দিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান যদি আওয়ামী লীগের জাতির পিতা হন তাহলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা। এটা আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করতে হবে। সেদিন যদি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র না দিতেন তাহলে আজ আওয়ামী লীগ থাকতো না। অথচ আজ তারা জিয়াউর রহমানকে কটাক্ষ করে। তার নামে মিথ্যা কথা ছড়ায়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, ডিএলের সভাপতি সাইফুদ্দিন মনি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদউদ্দিন, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসললাম রিপন প্রমুখ।

কেএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ