মালয়েশিয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মালয়েশিয়া শাখার উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। রোববার বিকেলে কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং হোটেল সলিল-এ জাতীয় সঙ্গীত, দলীয় সঙ্গীত ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিবসটি।
মালয়েশিয়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা সালাউদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মালয়েশিয়া বিএনপির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. আহমেদ বোরহান বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার মিলিত বিপ্লবে চারদিনের দুঃস্বপ্নের প্রহর শেষ হয়। প্রতিহত হয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী ষড়যন্ত্র।
তিনি বলেন, ৭ই নভেম্বর না হলে বাংলাদেশে বহুদলীয় রাজনীতি কিংবা গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটত না। সেদিন জনতা জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে দেশকে উপহার দিয়েছিল একজন শান্তির দূত।
বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খান বাদলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সোনার বাংলাদেশে এখন মুক্ত স্বাধীনতার সুযোগ নেই। দেশ এখন ৭৪ সালের আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। বর্তমান অবৈধ সরকার চায় বাংলাদেশে শুধু তারাই রাজনীতি করবে, অবৈধ সরকার সংবিধান নিয়ে এমনই কৌশল করেছে।
তারা বলেন, সরকারের এই ধরণের নীতির কারণে সম্প্রতি ব্লগার হত্যা ও জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে ও একদলীয় শাসন বজায় থাকলে জঙ্গিবাদের উত্থান হতে থাকবে এবং এই ধরণের ঘটনা আরও ঘটতে থাকবে। এমনকি এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপিকে দোষারোপ করলে দেশে জঙ্গিবাদ আরও বেড়ে যাবে।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার অতি মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এই অবৈধ সরকারে বিরুদ্ধে মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণকে সজাগ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, গত দুই সপ্তাহের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ মারা গেলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি সরকার। এর কারণ হলো পুলিশকে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে, তাদের একমাত্র কাজ বিএনপিকে দমন করা।
সমাপনী বক্তব্যে মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এ দিনের ভুমিকা অুপরিসীম। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রেরণার উৎস।
তিনি আরো বলেন, প্রবাস থেকে আমাদের পাঠানো রেমিটেন্স সরকার লুটপাটের মাধ্যমে ফের বিদেশে পাচার করছে। আমাদের পাঠানো টাকায় অস্ত্র-গুলী কিনে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। তাই শুধু রাজপথে নয়, সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক ও বহির্বিশ্বে জনমত তৈরি করতে হবে এ সরকারের বিরুদ্ধে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য বিএপির সাবেক সহসভাপতি বর্তমান যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা জেপি আব্দুল লতিফ মাশুক, মালয়েশিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররাফ হোসেন,মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ ধীরেন,কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের ভার প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির, মালয়েশিয়া বিএনপির সহ সভাপতি মস্তফা তালুকদার,মালয়েশিয়া বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি উল্লাহ জাহিদ, মালয়েশিয়া যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান, বিএনপি নেতা আনোয়ার শিকদার,মালয়েশিয়া বিএনপির সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফয়জুল হক, স্বেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি হাবিবুর রহমান রতন, মো: জাফর, আব্দুল আলিম, যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক মো: রমজান আলি, সেচ্ছা সেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সুহেল মাহমুদ প্রমুখ।
আলেচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শাখাওয়াত হোসেন, হাজি সৈয়দ জাঁকির হোসেন, সেলিম ভুঁইয়া, আব্দুল রউফ লিটন, মো. সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ, মালয়েশিয়া বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম নিপু, বিএনপি মালয়েশিয়া বিএনপির প্রচার সম্পাদক এস এম বশির আলম, দফতর সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম (রতন), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ , ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, ইকবাল হোসেন , সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. এনামুল হক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক মল্লিক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম মানিকসহ মালয়েশিয় বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ও বিভিন্ন শাখা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ দেশের সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন মাওলানা রেজাউল করিম।
এসকেডি/পিআর