ইসলামী আন্দোলনের ৩৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম অভিযোগ করে বলেছেন, নড়াইলে দিনদুপুরে ইসলামি আন্দোলনের অফিস থেকে আমাদের ৩৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জামাত-শিবির বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কামরাঙ্গীরচর থানা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত উলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, একটি নিবন্ধিত সংগঠনের নেতাকর্মীদের দলীয় অফিস থেকে গ্রেফতার করার খেলা বন্ধ করতে হবে। উলামায়ে কেরামের দূরদির্শতার অভাবে এবং ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে তাবঃ আল্লাহদ্রোহী শক্তিগুলো ক্ষমতায় জগদ্দল পাথরের মত ঝেঁকে বসেছে। উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসলে নাস্তিক-মুরতাদ শক্তিগুলো মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ পেত না।
তিনি বলেন, দেশ চরম ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশ ভয়াবহ সঙ্কটের দিকে এগুচ্ছে। ইসলাম, দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত চলছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। ইসলামপন্থিদের কোনঠাঁসা করা হচ্ছে। শিক্ষা আইনের নামে কওমী মাদরাসাগুলোকে ধ্বংসের নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি উলামাদেরকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সচেতনতার সাথে সামনে এগুতে হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলন খুবই কঠিন। ভয়-ভীতি, লোভ-লালসায় ঈমান বিক্রি করা যাবে না। ক্ষমতার মোহে যেন কাউকে আচ্ছন্ন করতে না পারে।
থানা সভাপতি আলহাজ্ব হারুন বাদশার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহা. ইয়াকুব হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ডা, মুখতার হুসাইন, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিন্নাত আলী, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, মু. মোশাররফ হোসেন, মাওলানা এইচএম সাইফুল ইসলাম।
এছাড়া স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উলামায়ে কেরাম ও মসজিদের খতীবগণ বক্তব্য রাখেন।
এএম/এসকেডি/পিআর