ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

‘অধিকাংশ তরুণ আজ বেকারত্বের গ্লানিতে ক্লান্ত’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:০৮ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২০

একটি সমাজ বা রাষ্ট্রে যখন সুশাসন অনুপস্থিত থাকে তখন আর সেখানে মানুষের কল্যাণের কথা কেউ ভাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া। তিনি বলেন, জাতির অহঙ্কার হিসেবে নতুন প্রজন্মের তরুণদের আখ্যায়িত করা হলেও অধিকাংশ তরুণ আজ বেকারত্বের গ্লানিতে ক্লান্ত। দিন বদলের শ্লোগান আর ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের খবর নেই।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বেকারদের কর্মসংস্থান অথবা বেকার ভাতার দাবি’-তে বাংলাদেশ যুব শক্তি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তো নাগরিকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার কথা। কিন্তু এই সত্যটা আমরা একরকম ভুলতে বসেছি। আমরা খুব স্বাভাবিকভাবে ধরে নিচ্ছি, এখানে রাষ্ট্রের ভূমিকা নেই। তবে এ কথা বলছি না যে, রাষ্ট্র সবাইকে সরকারি চাকরি দেবে। সক্ষম মানুষরা যেন কাজ পান, তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অন্যথায় বেকার ভাতা দিতে হবে।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, বেকার মানুষদের জীবনে কী দুর্যোগ নেমে আসে, তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। যারা ঋণ ফেরত দেন না, তাদেরই ঋণ দেয়া হচ্ছে। এতে প্রকৃত উদ্যোক্তারা ঋণ পাচ্ছেন না।

mostofa

তিনি বলেন, সরকারের ভূমিকা ছাড়া এই বিপুল মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার যথাযথ রাষ্ট্রীয় নীতি, যা সব সরকারকে মেনে চলতে হবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র শুধু বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ দেখবে না, সবারটাই দেখতে হবে।

‘ক্ষমতাসীনরা তো বলেন, দেশে যত উন্নয়ন হয়েছে তার সিংহভাগই এই সরকারের অবদান। উন্নয়নের সবটুকু অবদান যদি সরকারেই হয় তাহলে বেকারত্বের দায়টাও সরকারকে নিতে হবে। কালভার্ট আর ফ্লাইওভার নির্মাণ করলেই যদি দেশ উন্নত হতো তাহলে তো বেকারের সংখ্যা কমে যেত। সরকারের আজ্ঞাবহরা যতই উন্নয়নের ফানুস উড়িয়ে হাততালি দিক আর চটকদার কথা বলুক, যদি বেকারত্বের অবসান করতে না পারে তাহলে এ উন্নয়নের কোনো মানে হয় না।’

বাংলাদেশ যুব শক্তির হানিফ বাংলাদেশীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ সরকারের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা গোলাম ফারুক মজনু, সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম, আল-আমিন প্রমুখ।

কেএইচ/এমএআর/এমএস