ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

কিবরিয়া হত্যা মামলা : আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

প্রকাশিত: ০৯:১৭ এএম, ০৫ নভেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা  মামলায় আরও দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে এই মামলায় দুই দফায় ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো। বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দেন আব্দুর রউফ ও ইরফান আলী।

আগামী ১১ ও ১২ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর।

বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল হোসেন দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।

এর আগে পর্যাপ্ত আসামিরা উপস্থিত না থাকায় তিন দফা পিছিয়ে যায় চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। বৃহস্পতিবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক ছাড়া কারান্তরীন ও জামিনে থাকা সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওই মামলায় ১৭১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পিপি কিশোর কুমার কর।

এর আগে টানা ৯ দফা পেছানোর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তণ অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলার কারান্তরীণ সকল আসামির উপস্থিতিতে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান চার্জ গঠন করেন। মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়েছে।

অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিকের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। ওই হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী।

এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।

হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল­াহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।
    
ছামির মাহমুদ/এমজেড/পিআর