ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

শ্রিংলার সাথে বৈঠকের বিষয়বস্তু প্রকাশের দাবি নজরুলের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৪৮ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২০

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার আকস্মিক ঢাকা সফরে সরকারের সাথে যে আলোচনা হয়েছে তা জনগণের সামনে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বুধবার (১৯ আগস্ট) জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ দাবি করেন।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার আকস্মিক ঢাকা সফর বিএনপি কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের পররাষ্ট্রসচিব, তিনি আসতেই পারেন আমাদের দেশে যেকোনো সময়। কিন্তু তিনি এসে কী কথা বলেছেন, এটা ছিল গোপন। এখানে আপনারা উপস্থিত ছিলেন না, আমরা উপস্থিত ছিলাম না। কী আলোচনা হয়েছে এ সম্পর্কে আমরা ডিটেইলস জানিও না। পত্রপত্রিকায় যেটা দেখলাম সেটা হলো বন্ধুত্বের যে দুর্বলতা সেটা মেরামত করার জন্য উনি এসেছেন। বিএনপি পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়- এ আদর্শে বিশ্বাস করে। বিএনপি সমমর্যাদার ভিত্তিতে প্রতিবেশিসহ সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মানজনক সহযোগিতার সম্পর্কে বিশ্বাসী।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যে কারণেই তিনি এসে থাকুন না কেন। আমাদের সরকার যারাই দায়িত্ব পালন করছেন, জোর করে হোক, ভোট ছাড়া হোক, কিন্তু দায়িত্বে তারা... তাদের দায়িত্ব হলো দেশের স্বার্থ রক্ষা করা। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের এই সফরের মধ্য দিয়ে আমরা আশা করতে চাই, এই সফর, যেমন পত্রিকায় এসেছে...আনুষ্ঠানিকতা, এটা হতেই পারে। এটা সরকারের দায়িত্ব তাদের কী আলোচনা হলো, আলোচনায় সরকারের অবস্থান কী ছিল সেটা জনগণের কাছে বর্ণনা করা। জনগণকে জানানো। কিন্তু এর আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে জানানো হয়নি তা জনগণকে, এমনকি চুক্তি হয়েছে সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু তারপরও আমরা আশা করবো, জনগণের অধিকার আছে জানার যে, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সরকার কী করছে, বা কী বলছে তা জানানোর দায়িত্ব সরকারের।

জিয়াউর রহমান ইতিহাসের ‘ফুটনোট’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন সেই প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আরেকজন রাজনৈতিক কর্মীর মূল্যায়ন করতে চাই না। তার বক্তব্য এদেশের মানুষ রসিকতা কিংবা ভাঁড়ামি মনে করে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যদি ফুটনোট হন তাহলে মূল অংশ কে? মূল অংশ কারা এটা ওবায়দুল কাদের সাহেবের বলা উচিত। আর উনি কি, উনার অবস্থান কোথায় এটাও বলা উচিত। আমি জানি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে উনার নাম কোথাও শুনিনি।

নজরুল বলেন, আমরা মনে করি, শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের হত্যার বিচার আদালতে হয়েছে। সেই বিচার চলাকালে কেউ শহীদ জিয়াকে অভিযুক্ত করে নাই এবং বিচারের রায়ে সেরকম কোনো উল্লেখ নেই।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, জনগণের সমর্থন নেই বলে নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হচ্ছে। জোর করে ভোট নেয়া হচ্ছে। দিনের ভোট রাতে হচ্ছে। প্রতিপক্ষকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হচ্ছে এবং সর্বোপরি এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা অভিযোগে কারারুদ্ধ করে রাখার চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি ও আরো অন্যান্য সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী শপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম, সরদার নুরুরজ্জামান, নজরুর ইসলামসহ সংগঠনটির বিভন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এনএফ/জেআইএম