৫ জানুয়ারির চেয়েও ‘জঘন্যতম’ নির্বাচনের পরিকল্পনা হচ্ছে
বিএনপি নেতাদের দণ্ড দিয়ে সরকার ভবিষ্যতে ‘জঘন্যতম’ নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ৫ জানুয়ারির চেয়ে আরো ‘জঘন্যতম’ নির্বাচন করার পরিকল্পনা হচ্ছে। এই পরিকল্পনা সফল করতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার মতো আরো অনেক নেতাকে দণ্ড দেওয়া হতে পারে।
যুবদলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মানুষের আস্থা অর্জন করার চেষ্টা করুন। বিএনপি নির্মূল করার চেষ্টা যত করবেন, ততই ধীরে ধীরে ডায়বেটিস রোগীর মতো আপনার কিডনী অকোজো হয়ে হাইপ্রোথিসিস্ট হয়ে মারা যাবেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ১৩ বছর দণ্ডে প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তিনি (সাদেক হোসেন খোকা) আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেছেন। কিন্তু তাকে পলাতক দেখিয়ে রায় দেওয়া হলো। বিষয়টি কি আদালত অবমাননার শামিল হলো না?
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি লন্ডনে বসে বলছেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। হয়তো তিনি স্বাধীন। তবে স্বাধীনতার সুফল জনগণের কাছে দৃশ্যমান নয়। তবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চাই, বিচারকদের স্বাধীনতা চাই। কিন্তু বিচার বিভাগ ততদিন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না, যতক্ষণ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হয়। গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আলাদা কোনো ভাবনা নয়, সংযুক্ত।
বিএনপিকে সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল অভিহিত করে তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করছে। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল গণতন্ত্র।
শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সদ্য পদত্যাগ করা বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষের যেমন রাজনীতি করার অধিকার আছে, তেমনি না করারও অধিকার আছে। সুতরাং তার পদত্যাগের বিষয়ে আমি ভালোও বলব-না, মন্দও বলব-না। তবে আশা করি, জাতির ক্রান্তিকালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের তিনি বিচ্ছিন্ন থাকবে না। জাতীয়তাবাদী শক্তির সঙ্গেই থাকবেন।
যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে অন্যান্য যুবদল নেতাকর্মীরা আলোচনা সভায় অংশ নেন।
এমএম/আরএস/আরআইপি