দেশকে খোঁয়াড়ে পরিণত করা হয়েছে, অভিযোগ রিজভীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেছেন, সারাদেশকে গরু-ছাগলের খোঁয়াড়ের মতো বানানো হয়েছে, যেন কেউ প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে না পারে।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে বুধবার (২৯ জুলাই) সকালে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরের আড়িয়াল বিলে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল মুন্সিগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে মৎস্য অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, মানুষ স্বাধীনভাবে চিন্তা করে, যা সে লিখে বা বলে প্রকাশ করতে চায়। কিন্তু শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশের মানুষকে গরু-ছাগলের খোঁয়াড়ে পরিণত করেছেন। কারণ তিনি মনে করেন, এই ঘরের মধ্যে মানুষ বন্দি থাকলে আমার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলবে না। তিনি দিনের ভোট রাতে করেন। তিনি জনপ্রতিনিধি কাকে বানাবেন, সেটা আগেই ঠিক করে রাখেন। নির্বাচনের নামে সেটি ঘোষণা দেন মাত্র। প্রকৃত ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন না।
সরকারের জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করছে। এটি আজকে বর্তমান সরকার কেড়ে নিয়েছে।আজকে যদি আপনারা মতপ্রকাশের জন্য ফেসবুকে কিছু লেখেন, দিনে রাতে যে কোনো সময় সাদা পোশাকধারীরা আপনাকে তুলে নিয়ে যাবে। আজকে ভোটের অধিকার নেই। আজকে কথা বলার অধিকার নেই। মানুষের গণতান্ত্রিক যে অধিকারগুলো রয়েছে, সব কেড়ে নেয়া হয়েছে। সেটি ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে লড়াই করছি। এই লড়াই করতে গিয়ে আমি আপনিই শুধু কারাগারে যাইনি। দেশের কোটি কোটি মানুষের যিনি আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় দুই বছরের অধিককাল কারাগারে বন্দী করে রেখেছিলো। সরকারের রোষানলে পড়ে আজকে দেশছাড়া হয়েছেন সারাদেশে কোটি মানুষের নয়নের মণি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য কথা বলেছেন বলেই তিনি আসলে দেশ ছাড়া।
রিজভী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনীতি ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন তাদেরই পূর্বপুরুষেরা। তারা সেই সময়ে এই কাজগুলো করেছিলেন। সংবাদপত্রগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলেন তারা। কয়েকটি পত্রিকা ছাড়া কোনো পত্রিকা চলতে দেননি। কথা বলা যাবে না। এক দল এক নেতা। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এগুলো চালু করে দিয়েছিলেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানের আরও একটি কাজ ছিল উন্নয়ন এবং উৎপাদনের রাজনীতি। দুই-একটা ফ্লাইওভার করে আওয়ামী লীগের নেতারা পকেট ভারী করে কানাডায় বাড়ি বানাবেন, সেকেন্ড হোম করবেন মালয়েশিয়ায়, এটা জিয়াউর রহমানের নীতি ছিল না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মৎসজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, মৎস্যজীবী দল মুন্সিগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন সামি প্রমুখ।
কেএইচ/এইচএ/জেআইএম
সর্বশেষ - রাজনীতি
- ১ খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেকের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
- ২ আওয়ামী লীগকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলার যৌক্তিকতা নেই: মঈন খান
- ৩ দোসররা আওয়ামী লীগকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে: জাতীয় নাগরিক কমিটি
- ৪ বাংলাদেশ পাকিস্তানও হবে না, আফগানিস্তানও হবে না: ডা. শফিকুর রহমান
- ৫ চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ করার উসকানি, জামায়াতের নিন্দা