ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

ইতিহাস থেকে শাহজাহান সিরাজকে মুছে ফেলা যাবে না

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২০

বিএনপি চেয়াপারসনের উপেদেষ্টা আবদুস সালাম বলেছেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সিরাজ থাকবেন আমাদের মাঝে। তিনি তার কর্মের মধ্য দিয়ে, রাজনীতির মধ্য দিয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন। যে যতই চেষ্টা করুক ইতিহাস থেকে শাহজাহান সিরাজকে মুছে ফেলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন।

শুক্রবার (১৭ জুলাই) সদ্য প্রয়াত স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক, বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ স্মরণে এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুস সালাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। যার কাছে মাইক তারাই তাদের মত করে ইতিহাস নির্মাণ করে। সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নির্মাণ করতে ব্যর্থ আমরা। কাউকে বাদ দিয়ে সত্যিকারের ইতিহাস নির্মাণ সম্ভব নয়। রব-সিরাজ-সিদ্দিকী-মাখন কাউকে বাদ দেয়া যাবে না। শাহজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক এটাই সবচেয়ে বড় সত্য।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা সকল কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুকে দিতে গিয়ে সবাইকে মুছে ফেলতে চাচ্ছে এটাই আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা। বঙ্গবন্ধু প্রধান নেতা হলেও তার পাশে অনেকেই ছিলেন। তাদেরকেও যথাযথ সম্মান দিতে হবে। তা না হলে ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

আবদুস সালাম বলেন, বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান সিরাজের মূল পরিচয় নয়। তার মূল পরিচয়, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, স্বাধীতার ইশতেহার পাঠক, স্বাধীন বাংলাদেশ ও লাল-সবুজ পতাকা প্রতিষ্ঠার নায়ক। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে স্বাধীনতার জন্য প্রবাসী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা ভাসানীসহ অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ, কমরেড মনি সিং, শহীদ জিয়া, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, আ স ম রব, শাহজাহান সিরাজ, আবদুল কুদ্দুস মাখন, নূরে আলম সিদ্দিকী সবাইকেই যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শাহজাহান সিরাজ যে অবদান রেখে গেছেন, মানুষ তা আজীবন মনে রাখবে। পাকিস্তানি রাষ্ট্র কাঠামো থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নির্মাণের দীর্ঘ পথযাত্রায় তিনি ছিলেন অন্যতম সংগঠক। সেই লক্ষ্যে ছাত্র-যুবসমাজকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত ও সম্পৃক্ত করার উজ্জ্বল প্রেরণায়ও তার অবদান কোনোভাবে মুছে ফেলা যাবে না।

তিনি বলেন, শাহজাহান সিরাজ মুক্তিযোদ্ধা না হলে কে মুক্তিযোদ্ধা? আজ বিভক্ত নয়, সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের প্রয়োজনে, গণতন্ত্রের প্রয়োজনে, জনগনের মুক্তির প্রয়োজনে। আমাদের রাজনীতির নেপথ্য নায়ক তিনি। হাজার হাজার তরুণের মনে স্বাধীনতার স্বপ্ন বপন করে দিয়েছেন তিনি।

ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ জাতীয় দল চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) (একাংশ) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের (একাংশ) মহাসচিব এডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল।

কেএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম