ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

জনমনে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে : ন্যাপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ২১ জুন ২০২০

'নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দেশে লকডাউন নিয়ে লুকোচুরি খেলা চলছে। এর ফলে মৃত্যুর মিছিল প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে। অন্যদিকে গ্রাহকদের নিকট থেকে কিস্তি উত্তোলনে এনজিওগুলোর অব্যাহত চাপ, সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল প্রদানে তারিখ নির্ধারণে বাড়িওয়ালারা ও ভাড়াটিয়াদের ওপর বকেয়া ভাড়া পরিশোধে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। ফলে সমাজে নানা ধরনের জটিল সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কর্মহীন মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে হতাশা। ফলে জনমনে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। যে অন্তোষের বিস্ফোরণ ঘটলে সরকারের জন্য শুভ কোনো ফল বয়ে আনবে না।'

রোববার (২১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, করোনা মহামারি কেড়ে নিচ্ছে এই সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশের আনন্দ কোলাহল। মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ছন্দপতন ঘটছে প্রতিনিয়ত। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, মৃত্যুর হার এখনও কম। তখন প্রশ্ন জাগে আমরা আর কত মৃত্যু ধারণ করব? মৃত্যুর সংখ্যা কত হলে মন্ত্রীর কাছে তা অস্বাভাবিক বলে মনে হবে? নিত্যদিনের শোকবার্তায় জাতি উদ্বিগ্ন। এত মৃত্যু, এত সংক্রমণ তারপরও কি শাসকগোষ্ঠীর বোধোদয় হবে না?

নেতৃদ্বয় বলেন, অঞ্চলভিত্তিক বা জোনভিত্তিক লকডাউনের উদ্দেশ্য সফল করতে হলে সরকারকে আরও কঠিন হতে হবে। মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের খাবারের নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাদের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে সরকারের পক্ষ থেকে। ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের নব্য ইস্টইন্ডিয়ার মতো এনজিওদের কিস্তি উঠানো বন্ধ করতে হবে। বকেয়া বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির বিল প্রদানের বাড়িওয়ালাদের বাধ্য না করে আরও কমপক্ষে তিন মাস পর্যন্ত সময় বর্ধিত করতে হবে। অন্যথায় কথিত লকডাউনতো সফল হবেই না বরং সমাজে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে, জনঅন্তোষ সৃষ্টি হবে। যার ফল সরকারের জন্য খুব বেশি কল্যাণকর হবে না।

কেএইচ/জেডএ/পিআর