বাজেট বাস্তবতাবিবর্জিত সংখ্যার ফুলঝুরি : চরমোনাই পীর
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে দুর্নীতির আইনি অনুমোদনপত্র উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর বলেছেন, বাজেট বাস্তবতাবিবর্জিত সংখ্যার ফুলঝুরিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনার এই ভয়াবহ সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রস্তাব করার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ঘোরের মধ্যে বাস করছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে অবাস্তব বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় চরমোনাই পীর আরও বলেন, বিশাল অঙ্কের বাজেট দিয়ে অর্থমন্ত্রী গৌরববোধ করলেও সাধারণ জনগণ এর কতভাগ সুফল পাবে তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বাজেট প্রস্তাবনায় কথার ফুলঝুরি ও মিথ্যা আশ্বাসে ভরা লোক দেখানে মনতুষ্টির নিষ্ফল প্রয়াস চালানো হলেও একথা স্পষ্ট যে, বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটেও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে দুর্নীতিবাজ ও কালো টাকার মালিকদের অবৈধ টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
চরমোনাই পীর বলেন, এছাড়া জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেশি-বিদেশি লুটপাটকারীদের পকেট ভারী করার বাজেট এটা। বাজেটের বিশাল অংশ সরকারদলীয় এমপি ও নেতাকর্মীদের পকেটে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন চরমোনাই পীর। বাজেটে বরাবরের মতো কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখায় দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করা হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, দেশবান্ধব বাজেটের পরিবর্তে দলবান্ধব বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বর্তমান সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা কত বেশি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। আর এ দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের রক্ষার কথা মাথায় রেখেই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এ বাজেটে গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ধনী ও সুবিধাভোগী শ্রেণির কথা চিন্তা করেই এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হবে না। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই বাজেটের কারণে অর্থনীতি পুরোপুরি ঋণনির্ভর হয়ে পড়বে।
এফএইচ/এমএফ/জেআইএম