করোনা দুর্যোগে আক্রান্ত খাতগুলো বাজেটে মনোযোগ পায়নি : বাসদ
আকার বাড়লেও প্রস্তাবিত বাজেটে করোনা দুর্যোগে আক্রান্ত খাতগুলো মনোযোগ পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজেট প্রস্তাব করা হলেও সে অনুযায়ী কৃষি, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা, গবেষণা, কর্মসংস্থান খাতে বরাদ্দ সামান্য বেড়েছে।
খালেকুজ্জামান বলেন, 'করোনা দুর্যোগে আক্রান্ত খাতগুলো আলোচনায় যতটা এসেছে বাজেটে ততটা মনোযোগ পায়নি। বাস্তবতাকে বিবেচনায় না নিয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি দেখানোর প্রবণতা বাজেটের বাস্তবায়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। উচ্চ আয়ের ক্ষেত্রে গত বাজেটে ৩০ শতাংশ কর ধার্য করা ছিল। এবার সেটা কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। অথচ মাসে ২৫ হাজার টাকার উপর আয় করলে তাকে করের আওতায় আনা হয়েছে।'
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, 'ভ্যাটের আওতা বাড়ানো হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষ পরোক্ষ কর দিতে বাধ্য হবেন কিন্তু যারা সৎ-অসৎ নানা উপায়ে বিপুল সম্পদ ও প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে কর বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বরং উৎসে কর, করপোরেট করসহ নানা ক্ষেত্রে রেয়াত দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। দেশে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বাড়ছে। করোনা দুর্যোগ সাধারণ মানুষের আয় কমিয়ে ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হচ্ছে না। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। বরং প্রবাসীদের ফিরে আসার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাজেটে ফিরে আসা এই প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।'
বিবৃতিতে বাসদ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে আগের চেয়ে আরও নমনীয় শর্তে। কিন্তু এ যাবৎ ১৬ বার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার পরও মাত্র ১৪ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে, যার মধ্যে ৯ হাজার কোটি টাকাই ওয়ান এলেভেনের তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে। ফলে কালো টাকা সাদা করার সুযোগে দুর্নীতি আরও বাড়বে।'
এইউএ/জেডএ/এমকেএইচ