ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

আইন মেনেই সস্ত্রীক বিদেশ গেছেন মোরশেদ খান : আইনজীবী

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ৩০ মে ২০২০

আইন মেনেই সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিটিসেল ও এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান সস্ত্রীক বিদেশ গেছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে দেয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীর বক্তব্য বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছেন ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, দুদক আইনজীবী সংবাদমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর। মোরশেদ খান এবং তার স্ত্রীর বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

অবিলম্বে দুদক আইনজীবীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়ে মোরশেদ খানের সম্মানহানি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ব্যারিস্টার খায়রুল।

তিনি জানান, তারা দুজনই বয়োবৃদ্ধ। মোরশেদ খান পারকিনসন, উচ্চ ডায়াবেটিস এবং হার্টের অসুখে ভুগছেন। তার স্ত্রী নাসরিন খানও হার্টের অসুখে ভুগছেন।

চিকিৎসার জন্য তারা দেশের বাইরে গেছেন এবং যথাসময়ে দেশে ফিরে আসবেন বলেও জানান ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ভাড়া করা একটি প্লেনে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন এম মোরশেদ খান

সিটিসেলের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৩৮৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ২০১৯ সালের ১০ জুন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী (২০১৯ সালের নভেম্বরে বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দেয়া) এম মোরশেদ খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক।

২০১৭ সালের ২৮ জুন রাজধানীর বনানী থানায় দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাছরিন খান, সিটিসেলের এমডি মেহবুব চৌধুরীসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করা হয়। সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের মূল কোম্পানির নাম প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড (পিবিটিএল)। এম মোরশেদ খান কোম্পানিটির চেয়ারম্যান, তার স্ত্রী নাছরিন খান এর অন্যতম পরিচালক। মোরশেদ খান এবি ব্যাংকেরও চেয়ারম্যান ছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর সিটিসেল ২০১৬ সালে দেনার দায়ে বন্ধ হয়ে যায়।

বিএ/এমকেএইচ