ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

ব্যর্থতার সমালোচনা করলেই তারা মন খারাপ করেন : রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১৫ পিএম, ২১ মে ২০২০

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দে সরকারের অবহেলা প্রকাশ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২১ মে) দলীয় ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। মহামারির কবলে গোটা দেশ আজ। এখানে সরকারের অগ্রাধিকার যেসব খাতে তার মধ্যে সাত নম্বরে রাখা হয়েছে স্বাস্থ্য খাতকে। গত বছর ছিল ১০ হাজার কোটি টাকা, এই বছর রাখা হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি। অর্থাৎ এখনো এই স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপারে সরকারের কোনো নজর নেই।

এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্ধ নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, সাংবাদিকরা পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেছিলো, এই যে মহামারি হাসপাতালে যন্ত্রপাতি নেই, স্বাস্থ্যসেবা নেই, এ খাত সরকারের অগ্রাধিকার এত নিচে কেনো? পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, আমরা টাকা বাড়ালে সেটা বাস্তবায়নের সক্ষমতা নেই। তাহলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত, বাংলাদেশের মেডিকেল হাসপাতাল, বাংলাদেশের সব কিছু অক্ষমভাবে তারা চালাচ্ছে এবং এই সরকারের কারণেই অক্ষমদের হাতে আছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত। এরকম পরিস্থিতি চলতে পারে না।

গত ১৯ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) ভার্চুয়াল সভায় আগামী অর্থবছরের এডিপির চূড়ান্ত করা হয়। এই এডিপিতে ২০২০-২১ অর্থবছরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা।

স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা খুব উষ্মা প্রকাশ করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দায়িত্ব নিয়ে কথা বলি না, তথ্যমন্ত্রী প্রতি সময়ে বিষোদ্গার করছেন। কই আপনারা তো কোনো কিছুর সমাধান করতে পারেননি। আজকে হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই, অক্সিজেনের সিলিন্ডার নেই, যে যন্ত্র অক্সিজেন দেবে সেই যন্ত্র নেই। যে অক্সিজেন মাস্ক লাগে সেই মাস্ক ৪০ শতাংশ হাসপাতালে নেই। এগুলো কী ব্যর্থতা নয়? তিনি বলেন, এই ব্যর্থতার কারণেই তো করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। এই ব্যর্থতা তো সরকারের। এই ব্যর্থতার সমালোচনা করলেই তারা (সরকার) খুব মন খারাপ করেন, তারা রাগান্বিত হন।

তিনি আরও বলেন, যারা এসব বিষয় নিয়ে ফেসবুকে লেখেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে, গ্রেফতার করে। কালকে গাজীপুরে পলাশ নামে একটি ছেলে ফেসবুকে লেখার কারণে গ্রেফতর করা হয়েছে। মামলা-মোকাদ্দমায় তারা সিদ্ধহস্ত। কে কোন বিষয়ে কী লিখছেন তাতে সরকারের নজরদারি রয়েছে অথচ করোনাকে প্রতিরোধ করার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেয়া হবে এই ব্যাপারে তাদের কোনো নজর নেই। দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণসামগ্রী এবং দুস্থদের জন্য দেয়া সরকারি অর্থ ক্ষমতাসীনরা লুটপাট করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ বাড্ডার ৯৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে মহানগর উত্তর সভাপতি এম এ কাইয়ুমের উদ্যোগে এই ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক এ জি এম শামসুল হক, ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি রাশেদ আলম মনু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের বাবু প্রমুখ।

এরপর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন রিজভী। এ সময় মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এমএফ/এমকেএইচ