করোনা: সরকারের ঘোষণা আত্মঘাতী
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু যখন ক্রমবর্ধমান, তখন সারাদেশে দোকান-শপিংমল চালু করার সরকারি ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এই ঘোষণা হবে তীরে এসে তরী ডোবার শামিল। অবিবেচনাপ্রসূত ও আত্মঘাতী।
মঙ্গলবার (৫ মে) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব কথা বলে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার কোন বিশেষজ্ঞ পরামর্শের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নিচ্ছে তা জানা যায়নি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে যে সভার বরাত দিয়ে সরকারকে এই পরামর্শ দেয়া হয়, তাতে কোনো বিশেষজ্ঞের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতিকে সচল করার যে যুক্তি আনা হচ্ছে তাও গ্রহণযোগ্য নয়। করোনার ঝুকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যে সক্ষম ও দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে লন্ডনের ‘দি ইকনোমিস্ট’ পত্রিকা সে রকমই দাবি করেছে। সরকার ও অর্থমন্ত্রী নিজেও এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এবং আগামী বছরের জন্য বর্তমান বছরের চেয়েও বড় বাজেট করতে চলেছেন। বিশ্বে এমন পরিস্থিতি হয়নি যে পোশাকশিল্প তার বাজার হারাবে। অন্যদিকে ঈদের এক বছরের ব্যবসার জন্য শপিংমলগুলো দেউলিয়া হয়ে যাবে না। বরং যেটা প্রয়োজন তা হলো ছোট ব্যবসা, শিল্প, কৃষি, খামার ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্রদান। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে যে প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ ঘোষণা করেছেন তা এই দিকে বিস্তৃত করা যুক্তিযুক্ত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের কঠিন সময়েও ঈদ উদযাপন করেছে। এবারও যে অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই তা মুক্তিযুদ্ধের ওই চেতনা দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য নয়, চীন, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া এমনকি পাশের দেশ ভারত যেভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ তার উদাহরণ নিতে পারে।
এফএইচএস/এমএসএইচ/পিআর